বিচারকের সঙ্গে অপেশাদার মূলক আচরণ

খোরশেদ আলমসহ ৪ আইনজীবীকে শোকজ

আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

বিচারকের সঙ্গে অপেশাদার আচরণের অভিযোগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বারের আহ্বায়ক খোরশেদ আলমসহ চার আইজীবীকে শোকজ (কারণ দর্শানো) করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।

রোববার (১৮ মে) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে এ তথ্য জানা যায়। 

নোটিশ পাওয়া আইনজীবীরা হলেন—ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক মিলন, ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের প্রাথমিক সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জাবেদ ও অ্যাডভোকেট এস এম ইলিয়াস হাওলাদার।

নোটিশে বলা হয়, গত ১৭ মে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে তাদের অপেশাদারিত্বমূলক আচরণ ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যা দলীয় ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এহেন অযাচিত এবং অপেশাদার মূলক আচরণের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে সভাপতি ও মহাসচিব বরাবর লিখিতভাবে আগামী ৩ (তিন) দিনের মধ্যে কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য বলা হয়েছে।

জানা যায়, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হানিফ মেম্বার নামে এক আসামি ১২ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আবারও তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী। তবে নিবেদন মতে শনিবার (১৭ মে) শুনানি করার জন্য রাখতে বলেন আইনজীবীরা। কিন্তু শনিবারও শুনানিতে আসামিকে জামিন না দেওয়ায় বিচারককে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ তকমা দিয়ে গালিগালাজ করেন কয়েকজন আইনজীবী। 

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় হানিফ মেম্বার নামে এক আসামির জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিলো শনিবার। খোরশেদ আলমসহ কয়েকজন আইনজীবী এ জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান আইনজীবীরা। বিচারককে তারা ফ্যাসিবাদের দোসর, দালাল বলেন। আদালতের কজলিস্ট ছুঁড়ে ফেলে দেন।

বিচার বিভাগীয় মহল বলছে, এ ধরনের আচরণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। ঘটনার তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে বিচার সংশ্লিষ্ট মহলে।

AHA
আরও পড়ুন