ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যা: রিমান্ডে দুই শুটারসহ ৪ জন

আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম

পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই শুটারসহ চার জনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। আসামিরা হলেন শুটার মো. ফারুক হোসেন ফয়সাল, রবিন আহম্মেদ পিয়াস, মো. রুবেল ও শামীম আহম্মেদ।

এদিন অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সূত্রাপুর থানার হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন।

প্রথমে আসামিদের উপস্থিতিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখান। পরে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামানের আদালতে নেয়া হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর রিমান্ডের আদেশ দেন।
 
এদিকে সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার পথে সূত্রাপুরে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটকের সামনে মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি। পেছন থেকে কোমর থেকে অস্ত্র বের করেন দুজন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একের পর এক গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন টার্গেট ব্যক্তি। অপারেশন শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় গুলি ছোড়া দুজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খুব কাছ থেকে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ তারিক সাইফ মামুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ।

পুলিশ জানায়, নিহত তারিক সাইফ মামুন রাজধানীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। তিনি ‘ইমন-মামুন গ্রুপের’ অন্যতম প্রধান ছিলেন। একসময় তিনি কুখ্যাত সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইমন ও মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আলোচনায় উঠে আসে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের নাম। ১৯৯৭ সালে মোহাম্মদপুর জোসেফের ভাই টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি ছিলেন নিহত মামুন। সেই ক্ষোভ থেকে জোসেফের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হতে পারে বলেও ধারণা পুলিশের।

LH/FJ
আরও পড়ুন