ঢাকা
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বন্ধুকে ২৬ টুকরা: জরেজ ও তার প্রেমিকার দায় স্বীকার

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ এএম

রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে হত্যার পর ২৬ খণ্ডের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার তার বন্ধু জরেজুল ইসলাম ওরফে জরেজ এবং তার পরকীয়া প্রেমিকা শামীমা আক্তার ওরফে শামীমা ওরফে কহিনুর দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালীন মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তারা হত্যার দায় স্বীকার জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল ওয়াহাব আসামি জরেজের ও ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া আসামি শামীমার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে জরেজকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অন্যদিকে তার বান্ধবী শামীমাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৩। পরের দিন ১৫ নভেম্বর আদালতে নেওয়া হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১১ নভেম্বর মালয়েশিয়া-ফেরত বন্ধু জরেজুল ইসলামের সঙ্গে ঢাকায় আসেন আশরাফুল। জরেজসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজন গত ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর মধ্যে পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশরাফুলকে হত্যা করে। ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের পাশে একটি ড্রাম থেকে তার ২৬ খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৪ নভেম্বর আশরাফুলের বোন আনজিরা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় জরেজসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

এলিট ফোর্স র‌্যাবের কাছে দেওয়া প্রাথমিক জবানবন্দিতে শামীমা জানান, হানি ট্র্যাপে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আশরাফুলকে ঢাকায় ডেকে আনা হয়েছিল। আর সেই পরিকল্পনার মূল নায়ক ছিলেন নিহতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জরেজ।

AHA
আরও পড়ুন