দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। প্যারিস রোড থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী চত্বর সর্বত্রই ছিল গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণা। কালো গাউন ও হ্যাট পরে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ছবি তোলা এবং বাবা-মাকে গাউন পরিয়ে দেওয়ার আবেগঘন দৃশ্য দেখা গেছে ক্যাম্পাসে।
সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অনুষদ অধিকর্তারা সভাপতির নিকট ডিগ্রি উপস্থাপন করেন। এবারের সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল ইসলাম আবরার।
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কোনো দল করি না, আমি নিরপেক্ষ; শিক্ষিত মানুষের এমন অবস্থান গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। অন্যায় যখন সংঘটিত হয়, তখন অবশ্যই একটি অবস্থান নিতে হয়। জ্ঞান দায়িত্বের সৃষ্টি করে, আর যখন সমাজ অন্যায়ের মুখোমুখি হয়, তখন শিক্ষিত মানুষের নীরবতা আপসেরই শামিল।’
তিনি শহীদ ড. শামসুজ্জোহা স্যারের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, বিগত ১৭ বছরের মতো পরিস্থিতি যেন ভবিষ্যতে আর তৈরি না হয়, সে জন্য শিক্ষার্থীদের সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে নতুন অগ্রগতির সুযোগ তৈরি করেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের সাহসী ও নীতিবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবর্তন বক্তা ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ শিক্ষার্থীদের ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস সিটিজেন’ হিসেবে গড়ে ওঠার এবং সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এবারের সমাবর্তনে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জনকারী ১২টি অনুষদের মোট ৫ হাজার ৯৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ৭৯ জনকে পিএইচডি, ১১ জনকে এমফিল এবং ৭৪০ জনকে এমবিবিএস ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
রাবি অধ্যাপকের বিতর্কিত পোস্ট, বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
‘আল্লাহু আকবার’ বলে ছাদ থেকে লাফ দিলেন রাবি শিক্ষার্থী