সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ওসমান হাদি হল’ রাখার জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।
সমাবেশে হলের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আহমেদ আল সাবাহ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কোনো হল থাকবে না। এই হলের নাম হবে ‘শহীদ ওসমান হাদি হল’। খুনি ও ফ্যাসিবাদের জনকের নাম-নিশানা বাংলার মাটি থেকে মুছে দিতে হবে।’ ইতোমধ্যে হল সংসদের নেতারা হলের সামনে নতুন নামের পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছেন।
হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. মুসলিমুর রহমান বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। আমরা কালচারাল ফ্যাসিবাদের জনকের নাম বাদ দিয়ে এই বীর যোদ্ধার নামে হলের নামকরণ করতে চাই।’ তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগকালে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হাদিকে ‘বিপ্লবের আইকন’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং তার পরিবার ও সন্তানের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে বলে জানান। শুক্রবার বাদ জুমা সারা দেশে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হবে।
ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ 