তীব্র তাপদাহে সারাদেশের মতো কুষ্টিয়ায়ও জারি রয়েছে হিট অ্যালার্ট। জেলায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই। তীব্র রোদ আর গা জ্বলা গরম বাতাসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস জুড়ে বিভীষিকাময় এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসবের মাঝেও নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ শ্রমিকেরা। পেটের দায়ে পুড়ছেন তারা। রোদের তীব্র উত্তাপে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেখানে বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন সেখানে তারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অনঢ়।
জানা যায়, চার বছর মেয়াদী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের অংশ হিসেবে এর আগে বিভিন্ন মেয়াদে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ৫২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে। আগামী ৮ মাসে অবশিষ্ট ৪৮ শতাংশ কাজ শেষ করতে হবে বলে এখন বিরতিহীন কাজ করতে হচ্ছে শ্রমিকদের।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ২টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহের মধ্যে থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। কেউ কাজ করছেন আবার কেউ ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কথা হয় একাধিক নির্মাণ শ্রমিক ও দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট ইনচার্জ অফিসারের সাথে। তারা তাদের অভিমত তুলে ধরেন খবর সংযোগ এর কাছে।
নির্মাণ শ্রমিক সাইদুর রহমান বলেন, রোদের তাপ তো মামা খারাপই লাগে। কিন্তু পেটের দায়ে তো আর ছেড়ে দেয়া যায় না। তাও আমরা চেষ্টা করি বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে কাজ করতে। আমাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার পানি এবং খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আরেক নির্মাণ শ্রমিক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এই ৯ তলা উপরে আমাদের দিনে ১০ বার উঠানামা করা লাগে। এখন এগুলো আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। আমাদের শরীর ঠিক থাকলেই আমরা কাজ করতে পারবো। আর কাজ করলে আমাদের পরিবার চলবে। তাই আমরা পর্যাপ্ত তরল খাবার গ্রহণের পাশাপাশি বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে কাজ করতেছি। আমাদের অফিসারেরাও আমাদের যথেষ্ট দেখাশুনা করছেন।
এ বিষয়ে প্রজেক্ট ইনচার্জ অফিসার উবাইদুর রহমান বলেন, শ্রমিক বাঁচলে আমাদের বিল্ডিং এর কাজ সঠিকভাবে চলবে। এখন আমরা যদি ওদেরকে এই তীব্র গরমে বেশি প্রেশার দিয়ে ফেলি তবে তা অমানবিক হবে। আমরা তাদের প্রতি যথেষ্ট মানবিক।
তিনি আরও বলেন, তবে আমরা শ্রমিকদের অফার দিয়েছিলাম যেনো এই গরমে রাতে কাজ করে। তবে তারা সেটি মানছে না। তাই দিনের বেলায় এই তাপে যতটুকু কাজ তাদের সহ্যের মধ্যে থাকে ততটুকুই করতে বলেছি। তাদেরকে খাবার সেলাইন, প্রাথমিক চিকিৎসা সহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি।
