সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওয়াতামুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষক সমিতি ও স্টাফ এসোসিয়েশন। বাংলাদেশ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে
রোববার দুপুর ১২টায় চুয়েটের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় মানববন্ধন করে চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশন। কর্মসূচিতে চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনেট সভাপতি ও বাংলাদেশ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল উদ্দীন বলেন, আমরা অতি শীঘ্রই এই বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম থেকে মুক্তি চাই। আমাদের দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে আমরা চুয়েটের বাস, হলের ডাইনিং, বিদ্যুৎ, পানি সব বন্ধ করে দেব। তবুও এই বৈষম্য আমরা মেনে নিব না।
দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে মৌন মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করে চুয়েট শিক্ষক সমিতি। এতে চুয়েটের এসময় অন্যান্যদের মধ্যে চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহমেদসহ শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
এসময় চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবে। চুয়েটে শিক্ষকরা পদোন্নতি পায় নতুন একটি নিয়োগের মাধ্যমে। ফলে দেখা যাবে পদোন্নতি পাওয়ার পর বর্তমান শিক্ষকরাও সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পড়বেন। তাই, অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের পহেলা জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সার্বজনীন পেনশনের সর্বশেষ স্কিমের আওতাভুক্ত করতে হবে। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এই স্কিমে বর্তমান ব্যবস্থার মতো অবসরের পর এককালীন অর্থ পাওয়া যাবে না এবং সরকারি কর্মকর্তাদের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হবেন এমন যুক্তি দেখিয়ে শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
