বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আশরাফুল হক হলের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দ্বারা শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো অমানবিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে একটি 'টর্চার কর্নার' তৈরি করেছে। ওই কর্নারে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের শরীরের জখমের ছবি প্রদর্শন করা হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া পর্যবেক্ষণ করে ছিলেন।
হলের জুলাই বিপ্লব শীতকালীন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে অস্থায়ীভাবে নির্মিত ‘টর্চার কর্নারে’ নির্যাতনের ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হয়।
আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক, মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির, এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান এবং সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহসহ প্রমুখ।
আশরাফুল হক হলের আবাসিক ছাত্র রিফাত বিন শায়েকুজ্জামান জানান, ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে হল থেকে বের হওয়ার সময় সিনিয়রদের দ্বার গেস্টরুমে ডেকে নেয়া হয় এবং সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। হকি স্টিক ও প্লাস ব্যবহার করে নির্যাতন চালানো হয়, যার ফলে তার কানের পর্দা ফেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়।
একই দিনে শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুল ইসলামকেও ছাত্রদল সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নির্যাতন করা হয়।
শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, রক্তদান করার কারণে শরীর দুর্বল থাকার পাশাপাশি তার অ্যাজমার সমস্যাও ছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে মারধর করা হয়। রড দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করার ফলে তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ফেরার পর তাকে ছাত্রদল বলে হল থেকে বের করে দেয়া হয়।
