ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইবিতে ফ্যাসিস্ট অপসারণের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোল

‘একপর্যায়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর বডির মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়।’

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সব পদ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের অপসারণের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপর ২ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে এ হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এসময় উপ-উপচার্যের সাথে উপাচার্য, প্রক্টর এবং সহকারী প্রক্টরের বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনার শুরুতে উপাচার্যের কার্যালয়ে সাংবাদিকরা ঢুকতে চাইলে তাদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয় শাখা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বৈষম্যরোধীরা দোষীদের বিচারের জন্য উপাচার্যকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক পদ থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণের দাবিতে দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হট্টগোল শুরু করেন। পরে দুপুর পৌনে একটার দিকে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জান খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুনের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

এ সময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সদস্য নুর উদ্দিন, রাফিজ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, আলিনুর রহমান, উল্লাস মাহমুদ ও সাবিক জোয়ার্দারসহ অন্যান্য কর্মীরা ভেতরে থাকা সাংবাদিকদের বের করে দেন।

একপর্যায়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর বডির মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় কক্ষের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও ছাত্রদল কর্মীরা তাদের বাধা দেন। পরে তাদের উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। 

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানকে ‘জামায়াত’ বলে আখ্যা দিলে দুজনের মধ্যে উচ্চবাচ্য সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ প্রক্টরের। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘আজকের এই ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমি দোষীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছি। এরমধ্যে বিচার না করলে শিক্ষার্থীরা অন্য ব্যবস্থা নিতে নিতে বাধ্য হবে।’

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ‘উপাচার্য কার্যালয়ে এক জুনিয়র শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। উপাচার্য এর বিচার না করলে আমি বিষয়টি অন্যভাবে দেখব।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘উপাচার্যের কার্যালয়ে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে সেহেতু আমরা উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেব। এ বিষয় নিয়ে কোনো তদন্ত কমিটির দরকার নেই।’

AA
আরও পড়ুন