ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

৩৬বার অপারেশন, ৯৭ দিন পর বাড়ি ফিরলো মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী 

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে টানা ৯৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর হাসপাতাল ছেড়েছে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী নাভিদ নেওয়াজ। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘চিকিৎসার দীর্ঘ সময়ে ১২ বছর বয়সী নাভিদের ৩৬টি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। নাভিদ এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ডা. মারুফুল ইসলাম বলেন, গত ২১ জুলাই ওই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নাভিদের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সিএমএইচ থেকে ঘটনার পরদিন তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। ওই সময় ক্রমাগত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরপর দুইবার তার পরিবারকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল- যেকোনো সময় দুঃসংবাদ আসতে পারে।

তবে চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেননি জানিয়ে তিনি বলেন, মোট ২২ দিন নাভিদ আইসিইউতে ভর্তি ছিল। এরমধ্যে ১০ দিন তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এরপর ৩৫ দিন তাকে হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে ৪০ দিন কেবিনে থাকার পর সোমবার সুস্থ হয়ে সে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছে।

ডা. মারুফুল ইসলাম বলেন, নাভিদের মোট ৩৬ বার ছোট-বড় অপারেশন হয়েছে। শরীরের ক্ষতস্থানে চামড়া প্রতিস্থাপন হয়েছে ৮ বার। যা এই দুর্ঘটনায় অন্য কোনো দগ্ধ রোগীর লাগেনি।

তিনি বলেন, ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় এখনও ৫ জন দগ্ধ শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে। তবে তারাও ভালো আছে৷ সপ্তাহখানেক পর তারাও বাড়িতে চলে যাবে।

এদিকে দীর্ঘসময় পর ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশবাসীর কাছে ছেলেসহ ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় হতাহতের জন্য দোয়া চেয়েছেন নাভিদের বাবা মিজানুর রহমান।

গত ২১ জুলাই দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা ভবনে আছড়ে পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। ওই সময় মুহূর্তেই দাউ দাউ করে চারদিকে আগুন জ্বলে ওঠে। সেদিনের সেই আগুনে পুড়ে ও ধ্বংসাবশেষে চাপা পড়ে স্কুলের বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রাণ হারান।

FJ
আরও পড়ুন