দেশে বছরে প্রায় ২৫ হাজার ধরনের ওষুধ তৈরি হলেও, সরকার মাত্র ৪ হাজার ওষুধ পরীক্ষা করতে সক্ষম। ফলে বাজারে ভেজাল, নকল ও নিম্নমানের ওষুধ ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা WHO (World Health organization) এর তথ্য অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলির বাজারে যে ওষুধ বিক্রি হয় তার শতকরা ১৫ ভাগ ওষুধ নিম্নমানের, ভেজাল বা নকল।
ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ভেজাল ওষুধ শনাক্তে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে। ওষুধ কেনার সময় যাচাই করা ভোক্তার অধিকার, যা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ আছে। এতে বাধা দিলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
কিছু সহজ উপায়ে এসব নকল ওষুধ শনাক্ত করা সম্ভব...
* ওষুধের প্যাকেটের গায়ে যে সিল থাকে সেটি ভাল করে দেখুন। কোথাও কোনো গলদ আছে কিনা। প্রয়োজনে একই কোম্পানির অন্য একটি ওষুধের প্যাকেট হাতে নিয়ে দুই প্যাকেটের সিল মিলিয়ে দেখুন। দু’টির সিল ও অন্যান্য লেবেল একই আছে কিনা। একরকম না হলে অন্য দোকান থেকে ওষুধ কিনুন।
* আগে যদি আপনি একই ওষুধ কিনে থাকেন তাহলে পরের বার কেনার সময় আগের প্যাকেটের সঙ্গে প্যাকেজিং, অক্ষরের ফন্ট, বানান, রং এগুলো মিলিয়ে দেখুন। কোথাও কোনো গলদ মনে হলে সেখান থেকে ওষুধ কেনা এড়িয়ে চলুন।
* ওষুধ কেনার পর বাড়িতে গিয়ে যখন সেটি খাবেন বা ব্যবহার করবেন তখন খেয়াল করুন, ওষুধের রং, আকার, গঠন নিয়ে কোনো সন্দেহ আছে কিনা। ওষুধের কোথাও কোনো ভাঙা অংশ রয়েছে কি না, গুঁড়ো ওষুধের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে দেয়া আছে কি না এসব ভাল করে দেখুন। সন্দেহ হলে সেটি এড়িয়ে চলুন।
* ওষুধটি যদি ক্রিস্টালের মতো হয় তাহলে আগের কেনা ওষুধের মতো শক্তি বা নরম কিনা দেখুন। ওষুধের ভেতরে কোথাও ফোলা অংশ বা দাগ থাকলে সেই ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে।
* ওষুধের দাম আপনার কাছে অসম্ভব কম বা বেশি হলে সেটি সন্দেহের একটি কারণ। নকল বা ভেজাল ওষুধ আসল ওষুধ থেকে কম দামে বিক্রি হতে পারে। এমন সন্দেহ হলে সেই দোকান থেকে ওষুধ না কেনাই ভাল।
* দেশে প্যানাসিয়া ডট লাইভ (www.panacea.live) নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে গিয়ে আপনি আপনার ওষুধটি যাচাই করতে পারবেন।
* প্যানাসিয়ার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ওষুধের প্রতিটি পাতায় একটি করে আলাদা কোড থাকে। কেনার আগে ওষুধের গায়ে থাকা নির্দিষ্ট কোডটি ‘২৭৭৭’ নম্বরে এসএমএস করে পাঠালে প্যানাসিয়ার ডাটাবেইসে থাকা কোডের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাই হবে। আর তাত্ক্ষণিকভাবে একটি ফিরতি এসএমএসে (ইংরেজি ও বাংলায়) জানিয়ে দেওয়া হবে ওষুধটি আসল না নকল।
শরীরে ক্যালসিয়াম জমা হলে যা ঘটে
‘বাত রোগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অপচিকিৎসার ঝুঁকি বাড়ছে’
শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কী হয়