ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

প্যারাসিটামলেও জ্বর না কমলে যা করণীয়

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৭ এএম

ঋতু পরিবর্তন ও বৃষ্টির কারণে সর্দি-কাশি, জ্বর ও গলা ব্যথায় ভুগছেন অনেকেই। এ সময় অনেক রোগী প্যারাসিটামল সেবন করছেন জ্বর কমানোর জন্য। তবে সব ক্ষেত্রে এই ওষুধে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আশিস মিত্র।

কতক্ষণ পর পর সেবন করবেন

ডা. আশিস জানিয়েছেন, জ্বর নিয়ন্ত্রণে প্যারাসিটামল কার্যকর হলেও এটি সেবনের নিয়ম মেনে চলা জরুরি। দুটো ওষুধের মাঝে কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা ব্যবধান রাখতে হবে। সাধারণত দিনে সর্বোচ্চ ৪টি ট্যাবলেট খেলেই জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে। অযথা বা অতিরিক্ত সেবন বিপজ্জনক হতে পারে।

প্যারাসিটামলেও জ্বর না কমলে করণীয়

প্যারাসিটামল সেবনের পর অন্তত এক ঘণ্টা সময় দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে জ্বর না কমলে নতুন করে ওষুধ খাওয়া যাবে না। চার ঘণ্টা পূর্ণ হওয়ার আগে আবার ট্যাবলেট খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় কপালে জলপট্টি দেওয়া বা ঘরের তাপমাত্রার পানি দিয়ে মাথা ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

দ্রুত সুস্থ হওয়ার উপায়

জ্বরের সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রক্তচাপ কমে যেতে পারে। ডা. আশিস জানান, এ সময় অপ্রয়োজনীয় প্রেশারের ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে। অন্য ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। দ্রুত সুস্থ হতে হলে পর্যাপ্ত পানি (প্রায় ৪ লিটার), ওআরএস ও ডাবের পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হবে এবং জ্বর কাটাতে সাহায্য করবে।

অতিরিক্ত প্যারাসিটামলের ক্ষতি

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, শরীরের ওজন যদি ৪০ কেজির বেশি হয় তবে ৬৫০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল, আর কম হলে ৫০০ মিলিগ্রাম সেবন করা উচিত। তবে কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত প্যারাসিটামল সেবন করা বিপজ্জনক। টানা এক-দেড় মাস প্রতিদিন ১ গ্রাম করে তিনবার সেবন করলে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

ডা. আশিস সতর্ক করে বলেন, প্রয়োজন ছাড়া কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল সেবন করা উচিত নয়।

NB/SN
আরও পড়ুন