গ্রীষ্মকাল মানেই বাজারে নানারকম ফলের সমাহার। মিষ্টি, সুস্বাদু, পুষ্টিকর এসব ফল পাকলেই মধু মাসের মজা পাওয়া যায়। তবে কাঁঠাল কাঁচা হোক আর পাকা, দুইভাবেই কিন্ত জমিয়ে খেতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড়ের তেরি মজাদার খাবারের রেসিপি।
কাঁচা কাঁঠাল কাটার আগে হাতে আর বটিতে ভালো করে সরিষার তেল মাখিয়ে নিলে কাঁঠালের আঠা হাতে লেগে যাবে না। কেটে নেয়া কাঁঠাল পানিতে সামান্য হলুদ আর লবণ মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিলে কাঁঠালের কালচে ভাবটা আর থাকবে না।
কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে গরুর মাংস: কাঁচা কাঁঠাল ৩ কাপ, গরুর মাংস আধা কেজি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া দেড় চা চামচ, মরিচ গুঁড়া দেড় চা চামচ, এলাচ-দারুচিনি ২/৩ টুকরা, লবণ পরিমাণমতো ও তেল আধা কাপ।
যেভাবে রান্না করবেন: প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে ভেজে নিন। তারপর সামান্য পানি দিয়ে নাড়ুন। এবার সব বাটা ও গুঁড়া মসলা একে একে মিশিয়ে দিন। ভালো করে সব মসলা কষিয়ে নিয়ে তারপর পানি ঝরিয়ে রাখা গরুর মাংস দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে সময় নিয়ে। অল্প অল্প করে পানি দিয়ে মাংস ভালো করে সেদ্ধ করে নিন।
মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে কেটে নেওয়া কাঁঠালের টুকরো মিশিয়ে দিন। কাঁঠাল সেদ্ধ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এরপর হালকা আঁচে মাংস বসিয়ে রাখুন। তেল ওপরে উঠে এলে নামিয়ে ভাত, পোলাও কিংবা রুটি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।

কাঁচা কাঁঠালের কাবাব: এক কেজি পরিমাণ সেদ্ধ কাঁঠালের জন্য দেড় কাপ বুটের ডাল ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ভেজানো ডাল এক চা-চামচ হলুদ গুঁড়া, তিনটি তেজপাতা, ইঞ্চি চারেক দারুচিনি, আস্ত শুকনো লাল মরিচ, এক চা-চামচ রসুন বাটা, দেড় চা-চামচ আদা বাটা, স্বাদ মতো লবণ আর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বাড়তি পানি না থাকে। খানিকটা ঠান্ডা হয়ে এলে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় যতটা সম্ভব মিহি করে বেটে নিতে হবে। সেদ্ধ কাঁঠালও বেটে নিতে হবে।
বুটের ডাল ও কাঁঠাল বাটা মিশ্রণের মধ্যে পুদিনা পাতার কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ভাজা জিরার গুঁড়ো এক চা-চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো এক চা-চামচ যোগ করতে হবে। সঙ্গে দিয়ে হবে পেঁয়াজ বেরেস্তা এক কাপ পরিমাণ।
বাইন্ডিংয়ের জন্য দুই টেবিল চামচ কনফ্লাওয়ার অথবা বিস্কিটের গুঁড়ো মেশাতে পারেন। সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এবার এই মিশ্রণ থেকে কাবাব তৈরি করে নিন। কাবাব তৈরি হলে ফোটানো ডিমে চুবিয়ে গরম তেলে বাদামি করে এপিঠ-ওপিঠ ভেজে তুলে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল কাঁচা কাঁঠালের কাবাব।
