প্রযুক্তির কল্যাণে জীবন আজ অনেকটাই সহজ। ফ্রিজ থেকে মাইক্রোওয়েভ, গরমে এসি এবং শীতে রুম হিটারের ব্যবহার, কাপড় ধোয়ার জন্য ওয়াশিং মেশিন- কী না আছে? এমনকি অসুস্থ হলে আজকাল অনলাইন ডাক্তার থেকেও সুবিধা পাওয়া যায়। তবে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছেন না তো? সময় স্বল্পতার তাগিদে এবং রান্নার সময় বাঁচাতে বেশ কিছু উপাদান আমরা ফ্রিজে সংরক্ষণ করি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক ডা. ডিম্পেল জাংদা তার ইন্সট্রাগ্রামে শেয়ার করেছেন, ৪টি খাবার ফ্রিজে দীর্ঘসময় সংরক্ষণ করলে তা ধীরে ধীরে বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে।

রসুন : প্রায় প্রতিটি রান্নায় আমরা রসুন কুচি বা রসুনের পেস্ট ব্যবহার করি। প্রয়োজনের সুবিধার্থে তাই গৃহিণীরা রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। দীর্ঘদিন খোসা ছাড়ানো রসুন ফ্রিজে থাকার ফলে, এর পুষ্টিগুণ কমে যায়। রান্নার আগে রসুন পেস্ট করে নিলে এর পুষ্টিগুণ অব্যাহত থাকে। ফ্রিজ ব্যতীত হেঁশেলে রসুন সংরক্ষণের জন্য গোটা রসুন ঝুড়িতে রাখুন। বাতাসের সংস্পর্শে রাখার চেষ্টা করুন। ফ্রিজে রসুন পেস্ট সংরক্ষণ করতে চাইলে একটি এয়ার টাইট বক্সে তা রাখুন।
পেঁয়াজ : রান্নায় সুস্বাদু বজায় রাখতে পেঁয়াজের ভূমিকা অতুলনীয়। বলা যায়, পেঁয়াজ কাটতে কিছুটা কষ্টকর হলেও চটজলদি রান্নার জন্য অধিকাংশ মানুষ কাঁচা পেঁয়াজ কেটে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে। পেঁয়াজে সালফার থাকে, তাই এটি কাটলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে। ফলে দীর্ঘদিন কাঁচা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলে, সালফারের কারণে তাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করতে পারে খুব সহজেই। এটি পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। কর্মব্যস্ত জীবনে হাতে একেবারেই সময় না থাকলে, পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে একটি জিপলক ব্যাগ বা এয়ারটাইট কন্টেইনারে এক বা দুদিনের জন্য সংরক্ষণ করুন।

আদা : ফ্রিজে আদা সংরক্ষণের ফলে এটি কিডনি এবং লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যতটা পারেন, খোসাসহ আদা ফ্রিজের বাইরে রাখুন।

ভাত : চাকরিজীবীদের অনেকেই ভাবেন, ভাত একটু বেশি রান্না করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে তা দু-একদিন অনায়াসেই চলে যায়। ফ্রিজে রান্না করা ভাত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় রাখা ঠিক নয়। দীর্ঘসময় ভাত ফ্রিজে রেখে খাওয়ার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে।
