সম্পর্কে প্রতারণা একটি বহুল আলোচিত বিষয়, যা প্রায়ই প্রশ্ন তোলে কোন লিঙ্গ বেশি প্রতারণা করে, পুরুষ নাকি নারী? নিউইয়র্কের অভিজ্ঞ ডিভোর্স ও ফ্যামিলি ল’অ্যাটর্নি জেমস জোসেফ সেক্সটনের অভিজ্ঞতা এই বিতর্কে নতুন দিক উন্মোচন করেছে।
জেমস জোসেফ সেক্সটনের অভিজ্ঞতা বলে, পুরুষরা সাধারণত বেশি ধরা পড়ে, তবে নারীরা প্রতারণা অনেক বেশি দক্ষতার সঙ্গে করে। তিনি বলেন, ‘নারীরা বড় ধরনের, পরিকল্পিত প্রতারণায় দক্ষ, যেখানে পুরুষরা অনেক সময় নির্বুদ্ধিতার কারণে ধরা পড়ে যায়।’
তিনি প্রতারণাকে দুই ধরনের হিসেবে ভাগ করেছেন-
- ড্যালিয়ান্স (সাময়িক প্রেম): অযত্নে করা ভুল বা সাময়িক উন্মাদনা।
- অ্যাফেয়ার (বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক): গভীর, দীর্ঘস্থায়ী এবং পরিকল্পিত সম্পর্ক।
জেমস জোসেফ সেক্সটনের অভিজ্ঞতা অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, নারীরা সাধারণত দ্বিতীয় ধরনের প্রতারণায় বেশি প্রবণ, যেখানে পুরুষদের ভুলগুলো অনেক সময় হঠকারী ও অসতর্কভাবে ঘটে।
সামাজিক মাধ্যমে আসক্তি, নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ঘুমসেক্সটন বলেন, ‘পুরুষ ও নারীর প্রতারণার পদ্ধতি যেমন আলাদা, তেমনি প্রতিক্রিয়াও ভিন্ন। পুরুষ যখন জানতে পারে তার স্ত্রী প্রতারণা করেছে, তখন তার প্রথম প্রশ্ন হয় অনেকটা এমন ‘তুমি কি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছ?’ অর্থাৎ পুরুষরা শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। অপর দিকে একজন নারী যখন জানতে পারে তার স্বামী প্রতারণা করেছে, তার প্রথম প্রশ্ন, তুমি কি তাকে ভালোবাসো?’ অর্থাৎ নারীরা মানসিক সম্পর্কে বেশি ভয় পায়।
সেক্সটনের মতে, ‘এই দুই প্রতিক্রিয়ার মধ্যে লুকিয়ে আছে গভীর সামাজিক ও মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি। অর্থাৎ পুরুষের উদ্বেগ ‘অধিকার’ বা ‘নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে। আর নারীর উদ্বেগ ‘বদলে যাওয়া অনুভূতি’ নিয়ে।
কোনো ঘটনা বা ব্যক্তিকে স্মৃতি থেকে মুছে ফেলার কৌশলজেমস জোসেফ সেক্সটনের উত্তরটি বেশ স্পষ্ট, পুরুষরা বেশি ধরা পড়ে। তার ভাষায়, ‘পুরুষরা নির্বুদ্ধিতার কারণে ধরা পড়ে যায়। আর নারীরা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জিনিসগুলো আড়াল করতে পারে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, নারী বা পুরুষ উভয়ই প্রতারণা করে। কিন্তু বুদ্ধিমত্তা, আবেগ, পদ্ধতি আর গোপন রাখার ক্ষমতা নারী ও পুরুষের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
দাম্পত্য প্রতারণার গল্পগুলো যেমন বিচিত্র, তেমনি তার ব্যাখ্যাও বহুস্তরের। সেক্সটনের পর্যবেক্ষণ বলে, পুরুষ ও নারী দুজনেই প্রতারণা করে, তবে তাদের উদ্দেশ্য, আচরণ ও আবেগের গতিপথ সম্পূর্ণ আলাদা। আর সম্পর্ক যখন ভাঙতে বসে মানুষ সত্য বলে ওঠে, তখনই বোঝা যায় নীরবতার আড়ালে কতটা তীব্র বাস্তবতা লুকিয়ে থাকে।
