আজকাল প্রায় সবার মুখে একই কথা। অম্বল, গ্যাস, পেট জ্বালা-পোড়া, বমি-বমি ভাব, খেতে পারিনা, খেলে অস্থির লাগে, হজম হয়না, গলা জ্বলে। হলো কি বলুন তো? অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি এই দুইয়ে মিলে দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে অ্যাসিডিটি সমস্যা। যা মূলত খাওয়ার ওপর নির্ভর করে। অ্যাসিডিটি কমাতে জানতে হবে, আপনি কি খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন এবং কতবার খাচ্ছেন। খাওয়ার অনিয়ম হচ্ছে কি না- সেদিকে রাখতে হবে বিশেষ নজর। অ্যাসিডিটি থেকে পরিত্রাণ পেতে কিছু টিপস জেনে নিন।
মশলাদার খাবার কম খান: শুকনো মরিচ, দারুচিনি, সরিষা, লবঙ্গ বা যে কোনো গরম মশলার গুড়ো অতিরিক্ত ব্যবহার করলে পেটের অম্ল বেড়ে যায়। ফলে হজমে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে মৌরি বীজ খেতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মৌরি বীজ ভিজিয়ে রাখুন। দুপুর বা রাতের খাবারের পর এই পানি পান করুন। আপনি চাইলে, প্রতিবার খাবারের পর কয়েকটি মৌরি বীজ চিবিয়ে খেতে পারেন।

টক এবং নোনতাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: প্যাকেটজাতীয় খাবার যেমন চিপস বা আঁচার থেকে বিরত থাকুন। ফাস্টফুড বা ফ্লেভার সমৃদ্ধ খাবার কে না বলুন। পেটে গ্যাস জমলে বা অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হলে তরল খাবার খান। আঁশযুক্ত শাক-সবজী, ফলমূল, দুধ খাদ্যতালিকায় রাখুন। কোন খাবার খেলে আপনার বদহজম হয়- তা খেয়াল রাখুন। এছাড়া কিছু খাবারের সংমিশ্রণ যেমন, দুধের সঙ্গে দই এবং ফল, ডিমের সঙ্গে দুধ খাওয়া বাদ দিন। বাসি এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকুন।
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় গ্রহণ কমিয়ে দিন: আমরা অনেকেই আছি, যারা চা বা কফি অত্যধিক পছন্দ করি। শুধু তাই নয়, চা বা কফিতে আসক্তি থাকার ফলে দিনে কয়েকবার এটি পানও করে থাকি। অ্যাসিডিটি কমাতে ক্যাফেইন আছে এমন পানীয় অবিলম্বে ত্যাগ করন।

খাবারের সময়সূচি নির্ধারণ করুন: দিনে অন্তত তিন বেলা খাবার খান। প্রতিবার পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই ভালো করে চিবিয়ে নিন। অবশ্যই রাতের খাবারটা সন্ধ্যার আগেই খেয়ে ফেলা অভ্যাস করুন।
খাওয়ার পর হাঁটুন: প্রতিবার খাবার পর কিছু সময় হাঁটুন। এতে খাবার দ্রুত পাকস্থলীর মাধ্যমে অন্ত্রে যেতে পারে এবং হজমে সহায়তা করে।
