সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যা অথবা কাজের ফাঁকে এক কাপ কফি না হলে যেন চলেই না! কফিতে থাকা ক্যাফেইন মহিলাদের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, যা মাসিকের কার্যকারিতা ও উর্বরতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে নারীদের।
নারীদের হরমোনজিত সমস্যা, অনিদ্রা, হজমে সমস্যার মতো জটিলতাগুলোর নেপথ্যে রয়েছে কফির ভূমিকা। এমনকি কারো কারো ক্ষেত্রে এটি উদ্বেগজনিত সমস্যাও বাড়াচ্ছে।

কফি নারীদের জন্য সমস্যার কারণ কেন?
কফিতে আছে ক্যাফিন। এই উপাদানটি শরীরের জন্য ভালো, তবে তার পরিমাণ সীমিত হতে হয়। শরীরে অতিরিক্ত ক্যাফিন প্রবেশ করলে হরমোনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ঋতুচক্র শুরু কিংবা শেষ, মেনোপজ হওয়ার সময়ে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই নারীদের শরীরে হরমোনের হেরফের হয়। তাই ওই সময়ে কফি খেলে সমস্যা মারাত্মক আকার নিতে পারে।
অনিদ্রা, উদ্বেগ ও হরমোনের হেরফের:
পাবমেড সেন্ট্রাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, নারীদের অনিদ্রাজনিত সমস্যার সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যাফিনের যোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষণা অনুযায়ী, দিনের পর দিন বাড়তে থাকা উদ্বেগের কারণও হলো কফি। যদি হঠাৎ করেই অকারণে আপনার উদ্বেগ বৃদ্ধি পায় তাহলে কিছুদিন কফি খাওয়া বন্ধ রাখুন। দেখুন মানসিক অশান্তি কমে কি না।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স:
কফি প্রকৃতিগতভাবেই অ্যাসিডিক। তাই যারা আগে থেকে এমন সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে কফি অনুঘটকের মতো কাজ করে। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, চোঁয়া ঢেকুর, হজমের গোলমাল, পেটফাঁপা কিংবা ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের সমস্যার কারণ হতে পারে কফি।
রক্তাল্পতা এবং দুর্বল হাড়:
খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে বাধা সৃষ্টি করে অতিরিক্ত ক্যাফিন। তাই যেসব নারী কফি বেশি খান তাদের অধিকাংশই আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগেন। যেসব নারী আগে থেকেই রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য কফি খাওয়ার অভ্যাস আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বয়সকালে নারীদের হাড়ের ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায় কফি।
কফি পান করতেই পারেন। তবে তা যেন সীমিত পরিসরে হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত কফি পান করবেন না।
