সাধারণত আমাদের দেশের আবহাওয়ায় সাধারণত ড্রায়ারের প্রয়োজন হয় না, তবে ওয়াশিং মেশিনের সঙ্গে যুক্ত ড্রায়ার অনেকেই ব্যবহার করেন। কিছু জিনিস ড্রায়ারে দিলে কাপড় ও মেশিন দুটোই নষ্ট হতে পারে- যেমন সিনথেটিক কাপড়, রাবারযুক্ত জুতা ও অলঙ্কার লাগানো পোশাক।
সুইডেনভিত্তিক গৃহস্থালি যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘এসকেও’ - এর পণ্য বিশেষজ্ঞ ও বাজারজাতকরণ বিভাগের সহসভাপতি ব্রায়ান জোন্স রিয়েলসিম্পল ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন কিছু জিনিসের কথা জানান, যা কখনই ড্রায়ারে দেওয়া উচিত নয়।
ব্রায়ান জোন্স বলেন, কিছু কিছু বস্তু আছে, যেগুলো ড্রায়ারে দিলে সেগুলোর স্থায়িত্ব কমে যায়। আর অনেক সময় ড্রায়ারের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে রয়েছে রাবারযুক্ত কিছু জিনিস। যেমন - রাবার সোল যুক্ত জুতা, বাথরুমের ম্যাট বা ‘রাবার ব্যাকিং’যুক্ত কার্পেট। এগুলো ড্রায়ারে দিলে ভীষণ ক্ষতি হয়।
তিনি বলেন, উচ্চ তাপমাত্রায় রাবার গলে যায়। আকার বিকৃত হয়। আর কখনো কখনো ড্রায়ারের ভেতর আটকে গিয়ে যন্ত্রে স্থায়ী ক্ষতি করে। ফলে এসব বস্তু বাতাসে শুকানোই সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি।
ব্রায়ান জোন্স বলেন, আরও আছে ইলাস্টিক মিশ্রণে তৈরি পোশাক। ব্যায়ামের পোশাক, অন্তর্বাস, সাঁতার কাটার পোশাক সাধারণত স্প্যানডেক্স বা ইলাস্টিক মিশ্রণে তৈরি। এ উপাদান গরম সহ্য করতে পারে না, তাই এসব কখনোই ড্রায়ারে দেওয়া যাবে না।
কারণ স্প্যানডেক্স ড্রায়ারে দিলে তার স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে। ফলে পোশাক ঢিলে হয়ে যায় এবং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এসব পোশাক ছায়ায় বা হালকা বাতাসে শুকানোই শ্রেয়।
তিনি আরও বলেন, অতিসংবেদনশীল কিংবা নরম কাপড় ড্রায়ারে দেওয়া যাবে না। যেমন- সিল্ক, চামড়া বা উলধর্মী কাপড় এবং যেসব পোশাকে দানাদার অলংকরণ বা কাঁটা, পুঁতি থাকে তা কখনই ড্রায়ারে দেওয়া উচিত নয়। বেশি তাপমাত্রার কারণে এ ধরনের নরম বা সজ্জিত কাপড় স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিল্ক চটচটে হয়ে যেতে পারে, উল সঙ্কুচিত হয়ে যেতে পারে এবং অলংকরণ খুলে পড়তে পারে।
ব্রায়ান জোন্স বলেন, বালিযুক্ত কাপড় ড্রায়ারে দিলে বালুর কণাগুলো ড্রায়ারের যন্ত্রাংশে গিয়ে ঘর্ষণ তৈরি করে, ফলে যন্ত্রের ক্ষতি হয়। তাই এ ধরনের কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করে, রোদে শুকানো সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি।
এসির ‘টন’ মানে কী?
মাথা ব্যথায় ওষুধ নয়, ভালো হবে স্মুদিতে!