ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কণ্ঠস্বর বসে গেলে করণীয়

আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম

গলা বসে কথা ফ্যাসফেসে হয়ে যাওয়া আপাতদৃষ্টিতে খুবই সাধারণ সমস্যা মনে হলেও আদতে তা না-ও হতে পারে। গলা বসে যাওয়া অনেকেই খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু এই গলা ভাঙাই অনেক সময় মারাত্মক কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গলা বসার কারণ হলো শ্বাসনালিতে সংক্রমণ।

এমনকি সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা দীর্ঘক্ষণ জোরে কথা বললেও গলার স্বর ভাঙতে পারে। কণ্ঠস্বর বসে গেলে কিছু ঘরোয়া উপায় এবং বিশ্রাম নিলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন হতে পারে। 

করণীয়:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম:
কথা বলা বা গান গাওয়া থেকে বিরত থাকুন, যাতে ভোকাল কর্ড বিশ্রাম পায়।

হাইড্রেশন:
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, যা গলাকে আর্দ্র রাখবে এবং আরাম দেবে।

গলা ভেজানো:
লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করাটা সবচেয়ে সাধারণ এবং একই সঙ্গে কার্যকর পদ্ধতি। দিনে অন্তত চারবার লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে। গলা ভাঙা উপশমে ভালো আরেকটি পদ্ধতি হলো গরম বাষ্প টানা। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি প্রতিদিন ১০ মিনিট মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয়, তবে উপকার হবে।

গলা ব্যথার ওষুধ:
ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) ব্যথানাশক যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন ব্যথা কমাতে এবং জ্বর থাকলে তা কমাতে পারে। 

গরম পানীয়:
গরম চা, কফি বা স্যুপ পান করুন, যা গলাকে আরাম দেবে। ভাঙা গলায় হালকা গরম লেবুপানি ও আদা বেশ কার্যকর। শুকনো আদায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যা গলার বসে যাওয়া স্বরকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে।

ধূমপান পরিহার:
ধূমপান এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।

চিকিৎসকের পরামর্শ:
যদি ঘরোয়া চিকিৎসায় উন্নতি না হয় বা জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা গিলতে অসুবিধা হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন, স্বরভঙ্গ বা কণ্ঠস্বরের পরিবর্তনের কারণ বিভিন্ন হতে পারে। তাই, সমস্যা গুরুতর হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

FJ
আরও পড়ুন