রুটি খেয়েও ওজন কমানো যায়। তবে গম বা আটার রুটি নয়; খেতে হবে প্রোটিনসমৃদ্ধ রুটি। তাহলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদাও মিটবে, মেদও কমবে খুব তাড়াতাড়ি।
ওজন তাড়াতাড়ি কমবে ভেবে অনেকেই ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেন। কার্বোহাইড্রেট না খেয়ে বা কম খেয়ে প্রোটিনসমৃদ্ধ ডায়েট অর্থাৎ মাছ-মাংস-ডিম বেশি করে খেয়ে মেদ ঝরানোর নতুন ধারা শুরু করেছেন। ওজন কমাতে শুধু মাছ বা মাংস খেয়ে থাকার এ ডায়েটের নাম প্রোটিন ডায়েট, যা নিয়ে এখন চর্চা বেশি।
এভাবে খেলে নাকি তাড়াতাড়ি ওজন কমে বলে অনেকেরই ধারণা। আবার তা কমছেও অনেকের। তবে সমস্যা হলো—শুধু মাছ-মাংস খেয়ে ওজন কমছে না। রুটি খেয়েও ওজন কমানো যায়। তবে গম বা আটার রুটি নয়। খেতে হবে প্রোটিনসমৃদ্ধ রুটি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রোটিনসমৃদ্ধ কোন রুটি খেলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে—
রাগির রুটি
রাগিতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম ও আয়রনে ভরপুর। রাগি দিয়ে তৈরি রুটিতে গ্লুটেন নেই। ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করেছেন যারা, তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন রাগির রুটি। ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী।
বাজরার রুটি
বাজরার আটা বলতে এতদিন গমের আটাই বুঝে এসেছেন সবাই। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, বাজরার গুণও কিছু কম নয়। বরং বাজরা খাওয়ার বাড়তি উপকারিতাও আছে। আটার তুলনায় বাজরার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হলো কোনো খাবার কত দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে, তা পরিমাপের স্কেল বা সূচক। যে খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, সেই খাবার সুগারের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। সেই বিচারে ডায়াবেটিস থাকলে আটার চেয়ে বাজরার রুটি বেশি উপকারী। তা ছাড়া গ্লুটেন সহ্য না হলেও বাজরার রুটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এতে ক্যালোরির মাত্রাও গমের চেয়ে কম, তাই এ রুটি খেলে ওজনও দ্রুত কমবে।
সয়া রুটি
সয়া রুটি খেলে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি পরিমাণে শরীরে যাবে। এতে ক্যালোরির মাত্রা কম, ফাইবার বেশি। এই রুটি খেলে প্রোটিনের চাহিদা যেমন মিটবে, তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ওট্সের রুটি
প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ ওটস এখন অনেকেই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত বা রুটির আদর্শ বিকল্প হলো ওটস। এতে গ্লুটেন নেই, ক্যালোরিও কম। তাই ওটস দিয়ে রুটি তৈরি করে খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
নভেম্বরে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়