ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর আসলে করণীয়

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ এএম

বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ভাইরাসজনিত জ্বর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বরে ভুগতে হয়। সঙ্গে থাকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, লেপ্টোস্পাইরোসিস সংক্রমণ, টাইফয়েড ও নানা রকম শ্বাসনালী সংক্রান্ত রোগ বেড়ে যায়। বৃষ্টির পানিতে ডোবা জায়গা মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি করে, যা ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায়।

ভাইরাসজনিত জ্বরের সাধারণ উপসর্গ হলো হঠাৎ উচ্চমাত্রার তাপমাত্রা, মাথাব্যথা, শরীর-ব্যথা ও চোখ থেকে পানি পড়া। বেশিরভাগ ভাইরাস জ্বর ৫–৬ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই কমে আসে। তবে ৩–৪ দিনের মধ্যে যদি জ্বর না কমে বা নতুন কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে।

শ্বাসনালীর সংক্রমণ হলে সর্দি, কাশি ও বমির সঙ্গে উচ্চমাত্রার জ্বর হতে পারে। সময়মতও চিকিৎসা না করলে তা নিউমোনিয়ায় গড়াতে পারে। পেটের সংক্রমণজনিত জ্বর, যেমন টাইফয়েড বা গ্যাস্ট্রোএন্টারাইটিস, তীব্র পানিশূন্যতা ও শরীরের লবণ-খনিজের ভারসাম্য নষ্ট করে খিঁচুনি পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো প্যারাসাইটজনিত জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর, কাঁপুনি, মাথাব্যথা ও জয়েন্টে ব্যথা থাকে। ডেঙ্গুতে কখনও কখনও শরীরের ভেতর রক্তক্ষরণও দেখা দেয়। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে।

করণীয়

পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চমাত্রার জ্বর থেকে খিঁচুনি বা ফিব্রাইল কনভালশন হতে পারে, তাই সতর্ক থাকা জরুরি। এ সময় পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার ও তরল গ্রহণ করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যদি জ্বর ৪ থেকে ৫ দিনের বেশি স্থায়ী হলে বা সাধারণ ওষুধে না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। বৃষ্টিতে ভেজার কারণে জ্বর আসলে সেটাকে স্বাভাবিক ভেবে বেশিদিন অপেক্ষা না করাই ভালো।  

চিকিৎসকরা বলছেন বর্ষার আমেজ উপভোগ করতে হলে সতর্ক থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার বিষয়টি বিশেষভাবে দেখতে হবে। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে ঘরে ফিরেই হাত-মুখ ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় পরতে হবে। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া জরুরি। জ্বরের শুরুতেই সঠিক চিকিৎসা নেওয়াই পারে এই মৌসুমি জ্বর থেকে সুরক্ষা দিতে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া  

HN
আরও পড়ুন