ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নূরুল কবীরকে বিমানবন্দরে হয়রানি, তদন্তের নির্দেশ ইউনূসের

অন্তর্বর্তী সরকার দেশের কোনো সাংবাদিককে হয়রানির ঘটনা সহ্য করবে না জানিয়ে এতে আরও বলা হয়,  ‘নূরুল কবীর তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত সম্পাদকদের একজন, যুক্তিসংগত চিন্তার এক প্রধান কণ্ঠস্বর এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতার একজন শীর্ষ প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত।’

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ এএম

ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার রাতে (২৩ নভেম্বর) তার কার্যালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান হয়।

এতে বলা হয়, ‘বিশিষ্ট সম্পাদক নূরুল কবীর সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

অন্তর্বর্তী সরকার দেশের কোনো সাংবাদিককে হয়রানির ঘটনা সহ্য করবে না জানিয়ে এতে আরও বলা হয়,  ‘নূরুল কবীর তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত সম্পাদকদের একজন, যুক্তিসংগত চিন্তার এক প্রধান কণ্ঠস্বর এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতার একজন শীর্ষ প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত।’

বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানানো হয়।

নূরুল কবীর তার ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে লেখেন, ‘গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, আমি যখনই বিদেশে যাই, দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আমাকে ঢাকার বিমানবন্দরে হয়রানি করে আসছে। এই হয়রানির মধ্যে রয়েছে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আমার পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া, ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা, যদিও মুদ্রিত নথিতে সবকিছুই উল্লেখ থাকে, প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করানো, আমার পাসপোর্টের পৃষ্ঠা গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে ফটোকপি করা এবং উড়োজাহাজ ছাড়ার কয়েক মিনিট আগে নথিপত্র ফিরিয়ে দেওয়া। দেশে ফেরার সময় কোনো সমস্যা হয়নি।

‘এইবার ১৮ নভেম্বর, যখন আমি একটি মিডিয়া সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য বিদেশে যাচ্ছিলাম, আমি আশা করেছিলাম যে ঢাকার বিমানবন্দরে আমার হয়রানির দিনগুলো অন্তত কিছুদিনের জন্য শেষ হয়েছে। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। এইবার হয়রানি বরং দ্বিগুণ হয়েছে।’

বিদেশ যাওয়ার সময় এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় আরও এক ঘণ্টা হয়রানির শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে তিনি আরও লেখেন, ‘দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে দেশপ্রেম একটি সন্দেহের বিষয়। ফলে, আমি বাধ্য হচ্ছি দেশের সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এবং তাদের তত্ত্বাবধানকারী সরকার বা ব্যক্তিদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।’

আরও পড়ুন