দেশের অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রমাগত মিথ্যা-বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতির বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করা হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতকে আমরা লিখিতভাবে অনুরোধ করেছি শেখ হাসিনাকে সংযম করার জন্য, যেন উনি এ ধরনের বক্তব্য না দেন; যেটা বাংলাদেশের বিপক্ষে যাচ্ছে। আমরা এটার কোনো জবাব পাইনি এখনও। গত কয়েকদিনের কার্যকলাপের কারণে আজ আরেকবার তাদের প্রতিবাদ নোট দিয়েছি। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রদিবাদ নোটটি দিয়েছি এবং আমরা আবারও অনুরোধ করেছি, যেন তাকে থামানো হয়। ‘কারণ তার যে বক্তব্য প্রধানত মিথ্যা। উনি যেসব কথা উল্লেখ করছেন সেটা এক ধরনের অস্থিশীলতা উসকে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এজন্য আমরা অনুরোধ করেছি এই অনুশীলনটা বন্ধ করার জন্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তার (শেখ হাসিনা) এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ আচরণ হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার পক্ষে সহায়ক নয়।
তাহলে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ কখন যাবে এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতকে আমরা অনুরোধ করেই যাচ্ছি তাকে যেন এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়। আমরা দেখব, কি ঘটে এবং কতটুকু তারা পদক্ষেপ নেন সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও কাছ থেকে সহযোগিতা বা মদদ পাচ্ছেন কিনা-জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটার জবাব দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন। আমার মনে হয় ভারতীয়তা আরও ভালো জবাব দিতে পারবেন। তারা আমাদের জানিয়েছেন, তারা তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছেন না। কিন্তু উনি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এটা করছেন এবং যে প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন সেগুলো আন্তর্জাতিক, আমেরিকা ভিত্তিক ইত্যাদি। এটা হলো ভারতের অবস্থান।
