ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুল আলোচিত ব্যক্তিগত সহকারী (পিয়ন) ‘৪০০ কোটি টাকার মালিক’ জাহাঙ্গীর আলমের দুটি ব্যাংক হিসাব ও একটি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৫ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, জাহাঙ্গীর আলমের দুটি ব্যাংক হিসাব ও একটি সঞ্চয়পত্রের হিসাব থেকে দেখা যায়, এই হিসাবগুলোতে মোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৯ টাকা রয়েছে।
তার এই দুই ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল।
আবেদনে উল্লেখ করে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলম ঢাকায় নিজ নামে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। তিনি তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ২৩টি হিসাবে মোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা বা ক্রেডিট ও জমা করা অর্থ বিভিন্ন মাধ্যমে উত্তোলন বা স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুদকের আইনে মামলা করা হয়।
এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর অবৈধভাবে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৮২ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
একই সঙ্গে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অবৈধ উপায়ে ৬ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪২ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়।
ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, জাহাঙ্গীরের ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্রে বিপুল অর্থ জমা রয়েছে। এই অর্থ তিনি যেকোনো সময় হস্তান্তর বা স্থানান্তর করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারে দুদক। এ কারণে সেসব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।
গত বছরের ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের পিয়নের ৪০০ কোটি টাকার মালিক হওয়ার তথ্য দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
