ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আইসিইউতে এখনো ১২ জন

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৩ এএম

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল বুধবার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৬৯ জন। এর মধ্যে শিশু অন্তত ৪০ জন। ১২ জন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন।

প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে গতকাল বেলা দুইটার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই হিসাব জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, এই তথ্য বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত। পরে একই ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়, সন্ধ্যা সোয়া সাতটা পর্যন্ত ভর্তি ৬৯ জনের মধ্যে

১৩ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যদিও কোন ১৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, সেটা জানানো হয়নি।

গতকাল প্রেস উইং থেকে পাওয়া প্রথম তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৬৯ জনের মধ্যে ৪১ জন শিক্ষার্থী, ৫ জন শিক্ষক। এর বাইরে স্কুলের কর্মচারী ১ জন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ১ জন, পুলিশের ১ জন, সেনাবাহিনীর ১৪ জন, গৃহকর্মী ১ জন, বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি ১ জন এবং অন্যান্য আরও ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

বয়সভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, ৬৯ জনের মধ্যে ৪০ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। ৫ জনের বয়স ৪০–৫০ বছর। পঞ্চাশোর্ধ্ব আছেন ১ জন। ১ জনের বয়স জানা যায়নি। আহত বাকি ২২ জনের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, আহতদের উল্লেখযোগ্য অংশ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে ৮ জন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে আছেন। এর বাইরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে আছেন ৪ জন।

গতকাল বিকেল পৌনে চারটায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. নাসির উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ৪৪ জনের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল (আশঙ্কাজনক) ও ১৩ জনের অবস্থা সিভিয়ার (গুরুতর)। এ ছাড়া ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট (মাঝারি) অবস্থায় আছেন।

সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে গতকাল বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা বসেছিলেন উল্লেখ করে পরিচালক বলেন, ‘আমরা ডিসিশন শেয়ার করেছি, তারাও মতামত দিয়েছেন। প্রত্যেক রোগীর বিষয়ে আলাদাভাবে আলোচনা হয়েছে কে কী ওষুধ পাবে, কার অপারেশন লাগবে, কার ড্রেসিং পরিবর্তন হবে ইত্যাদি।’

 

khk
আরও পড়ুন