বাংলাদেশ ও চীনের পাঁচ দশকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মধ্য দিয়ে-এমন মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ও চীন একসঙ্গে এগিয়ে চলেছে। সংস্কৃতির মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত ‘রেডিয়েন্ট স্টারস: লিংজিয়াতান কালচার ফটো এক্সিবিশন ফ্রম আনহুই, চায়না’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং ‘ইয়ার অব পিপল-টু-পিপল এক্সচেঞ্জেস’ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শুধু বাণিজ্য ও সংযোগ নয়, সর্বোপরি জনগণের হৃদয়ের বন্ধনও দৃঢ় হয়েছে। সাংস্কৃতিক কূটনীতি ছিল এই বন্ধনের মূল ভিত্তি। শিল্পকলা, সাহিত্য, সংগীত, প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘরের বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা নিছক নিদর্শনই নয়, বরং আদর্শ, দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনদর্শনও ভাগাভাগি করেছি।’
প্রদর্শনীকে সভ্যতার মধ্যে সংলাপ এবং বন্ধুত্বের উৎসব হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই উদ্যোগ চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে বাণিজ্য ও অবকাঠামোর গণ্ডি ছাড়িয়ে মানবিক ও সাংস্কৃতিক স্তরে উন্নীত করেছে।
তিনি আরও বলেন, চীনের প্রাচীন লিংজিয়াতান সভ্যতার জেড শিল্পকর্ম প্রকৃতি ও মানবতার মধ্যে আধ্যাত্মিক ভারসাম্যের প্রতীক। বাংলাদেশের মহাস্থানগড়, উয়ারী-বটেশ্বর ও পাহাড়পুরের মতো প্রাচীন নিদর্শনের সঙ্গেও এর মিল রয়েছে। ফলে এই প্রদর্শনী শুধু ঐতিহাসিক সংযোগই নয়, বরং সমকালীন জলবায়ু সংকট মোকাবেলায়ও প্রাসঙ্গিক বার্তা দেয়।
জাতীয় জাদুঘর ও চীনের আনহুই মিউজিয়ামের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারককে তিনি ‘যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে যৌথ প্রদর্শনী, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও একাডেমিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
তিনি চীনের পক্ষ থেকে প্রদর্শনীতে উপহার হিসেবে আনহুই প্রদেশের ব্রোঞ্জ প্রতিলিপি ও ‘ফোর ট্রেজারস অব দ্য স্টাডি’ উপহার দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। এগুলো জাতীয় জাদুঘরের স্থায়ী ‘চায়না কর্নার’-এ স্থাপন করা হবে, যা দুই দেশের বন্ধুত্বের স্থায়ী প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চীনের আনহুই প্রদেশের ভাইস গভর্নর সান ইয়ং, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ-চীন কালচারাল ইকোনমিক অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন সেন্টারের সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এবং বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওপেং। এছাড়াও কিউরেটর, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহারকারীদের প্রত্যাখ্যানের আহ্বান দুদকের
অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে চারণভূমি ধ্বংস হচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা