ঢাকায় উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তুরস্কের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেছে দেশটির দূতাবাস। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ১০২তম বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক।
অটোমান সাম্রাজ্যের পতন এবং মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯২৩ সালের ২৯ অক্টোবর তুরস্ক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর তুরস্কের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা অর্থনৈতিক সম্পর্কের দৃঢ় প্রতিফলন।
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রসারণ পারস্পরিক কল্যাণে উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে।
তিনি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে, বিশেষ করে সবুজ জ্বালানি উদ্যোগে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়া, তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় তুরস্কের সাহায্য সংস্থাগুলোর কার্যকর ভূমিকা এবং মানবিক ও উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দৃঢ় ও গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, উভয় দেশ এই সম্পর্ক আরো জোরদার করতে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের একটি বার্তা পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত।
সূত্র : বাসস।
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নতুন বিধিমালা প্রকাশ