ঢাকা
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ত্যাগ আর গৌরবের ইতিহাসে উত্তাল ডিসেম্বর

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ এএম

আজ ১ ডিসেম্বর। শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাঙালি অর্জন করে স্বাধীন বাংলাদেশ। ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের সূচনা হয়।

৫৪ বছর পরও ডিসেম্বর এলেই একাত্তরের স্মৃতি বাঙালির হৃদয়কে নাড়া দেয়। শহীদদের স্মরণ, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিজয়ের মাস। স্বাধীনতা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন যার পথরেখায় জ্বলজ্বল করছে গৌরবমণ্ডিত বিজয়ের ইতিহাস।

১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আত্মপরিচয় লাভের দিন। রক্তঝরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে গণহত্যা, নির্যাতন ও বাঙালির আত্মদানের দুর্বিসহ অধ্যায়। দখলদার বাহিনীর নৃশংস অপারেশন সার্চ লাইটে নিহত হয় অসংখ্য নিরীহ মানুষ; ঘটানো হয় অমানবিক নির্যাতন।

একাত্তরের মার্চে বাঙালির স্বাধীনতার ডাক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ইতিহাসের সেই মুহূর্তে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় এগিয়ে যায়। গণহত্যা, মা-বোনের ওপর নৃশংসতা, মেধাবী সন্তানদের হত্যাসহ পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরতা গোটা জাতিকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়।

ডিসেম্বরের শুরুতেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণে দখলদার বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি আক্রমণে শত্রুপক্ষ বিপর্যস্ত হয়ে যায়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চরম পরাজয়ের মুখে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী।

এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বিভিন্ন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয়ী জাতির নতুন পথচলা।

DR/SN
আরও পড়ুন