বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আব্দুল মঈন খান বলেছেন, মেজর হাফিজের ঘটনা যতই প্রকাশ পাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে সরকারের অপকর্মের নকশা ততোই প্রকাশ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ও ঢাকা বারের নির্বাচনের ঘটনা দিবলোকের মতো স্পষ্ট যে সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু অন্যায়ভাবে সব কিছু দখল করেছে বলে সরকারের মনে একটা ভয় সব সময়ই কাজ করছে।
আওয়ামী লীগ দেশের বিচার বিভাগসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা।

বুধবার (২০ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কারাবন্দী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের বাসায় গিয়ে তার বাবা, স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিক্রিয়ায় এসব মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান এই রাজনৈতিক নেতা।
মঈন খান বলেন, এবারের সুপ্রিমকোর্ট বারের নির্বাচনে দুটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা আর অবশিষ্ট নেই। প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন করে, মন্ত্রিসভা গঠন করে চিরদিন ক্ষতায় থাকতে চাচ্ছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ ও সাকিব আল হাসানের ছবির ঘটনা প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, নির্বাচনের আগে সরকার কিভাবে বিরোধী দলগুলোকে কব্জা করার চেষ্টা করেছে হাফিজ আহমদের ঘটনা তার একটি প্রমাণ। নির্বাচনের আগে কিংস পার্টিসহ বিভিন্ন ভুয়া দল গঠনের সরকারি উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
মেজর হাফিজের ঘটনা নিয়ে সরকার ফায়দা লুটতে চাইলেও ঘটনা যতোই প্রকাশ হচ্ছে, ততোই সরকার বিপাকে পড়ছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের অপকর্মের নকশা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচনকে বিভিন্ন দেশে গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন মঈন খান। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল যে, বিরোধী দলের সাবেক ১৩০ এমপি নির্বাচনে অংশ নিবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সর্ব সাকুল্যে তিনজনকেও নির্বাচনে আনতে পারেনি সরকার।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের শিক্ষক ড.আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজেদের লোক বসিয়ে কুক্ষিগত করতে চায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে ।
পরে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান আরেক কারাবন্দী আইনজীবী ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীর সেন্টাল রোডের বাসায় যান এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
