বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের খেলা এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য বিগত দিনে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। ফেলানীকে গুলি করে ঝুলিয়ে রেখেছিল, আমরা প্রতিবাদ করেও কোনো বিচার পাইনি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, আমি জোর গলায় বলতে পারি আওয়ামী লীগ কখনো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ছিল না। আওয়ামী লীগ কোনদিনই মুক্তিযুদ্ধ চায়নি। মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতাও চাইনি। শেখ মুজিবুর রহমান ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর সাথে আলোচনা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।
ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে, আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে বলে পিন্ডের জিঞ্জিরা ভেঙে কি দিল্লির জিঞ্জিরেতে আবদ্ধ হওয়ার জন্য।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনার কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। প্রত্যাশা পূরণের আগে আমরা জানি আপনাকে সকল জনজালমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। জানি সময় লাগবে সেই সময় বিএনপি আপনাদেরকে দিতে চায়। অবশ্যই দিবে। সেই সময়টুকু কতটুকু হবে সেটি নির্ধারণ করবেন আপনি এবং রাজনৈতিক দলগুলো। যারা হাসিনাকে পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় এখনও বসে আছে। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা আপনার সঙ্গে যেন আর বেশি দিন না থাকে সেই বিষয়ে আপনার লক্ষ্য রাখতে হবে।
তারেক রহমানকে বাংলাদেশের ফেরত আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন তার সকল মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। সরকারের উদ্দেশ্য বলতে চাই অতিদ্রুত তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন। তারেক রহমান বলে দিয়েছেন, আমার দলের সাথে যারা বিগত দিনে আন্দোলনে ছিল। তাদের সঙ্গে আমি নির্বাচনে যাব, দুই পক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গড়ে তুলবো, দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এরকম উজ্জ্বল নক্ষত্র নেতার প্রয়োজন বাংলাদেশে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, মৎসজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
