ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মব তৈরি করে রায় নেওয়া গেলে হাইকোর্টের দরকার কী, প্রশ্ন সারজিসের

আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম

মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’

এরপর আরেকটি পোস্টে তিনি বলেন, টাকা আর রাজনৈতিক দলের সুপারিশে অনেক হত্যাকারী আওয়ামী লীগারের জামিন হয়ে যায়। টাকা আর রাজনৈতিক সুপারিশ নাই বলে আওয়ামী আমলে জুলুমের শিকার অনেক মজলুমের জামিন হয় না। শাপলা হত্যাকাণ্ডে হেফাজতের ওপরে চাপানো মিথ্যা মামলায় অনেক মজলুম আলেম এখনো আদালতে চক্কর কাটে, কারাগারে বন্দি থাকে। অথচ এমন অনেক দাগী আসামি বিগত কয়েক মাসে জামিন পেয়েছে, যারা বিএনপির সাথে সংযুক্ত হলেও বিএনপির সময়ে তাদের কৃতকর্ম ও অপরাধের জন্য জেলে গিয়েছে। এগুলো কিভাবে হয়? কার সুপারিশে হয়? কোন আইনজীবী এবং বিচারকের প্রত্যক্ষ মদদে হয়?

সারজিস আলম আরও বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো মানুষ খুন হলো, এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরল, তারপরও নয় মাসে একটা বিচারকার্য সম্পন্ন হয় না! একটা খুনের বিচার হয় না! এই দায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুল স্যার কি কোনো ভাবে এড়াতে পারে? তাহলে কি আমাদের এখন তার পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয়?

এর আগে সকালে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ  ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করেন। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, এই রিট করার এখতিয়ার না থাকায় রিটটি খারিজ করা হলো। একইসঙ্গে নির্বাচনি ফোরামের মামলা অন্য ফোরামে না গিয়ে এখানে আসা ঠিক হয়নি বলেও উল্লেখ করেন আদালত।

পরে ইশরাকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, এ আদেশের ফলে মেয়র পদে শপথে আর বাধা নেই। আগামী ২৬ মে’র মধ্যে ইশরাককে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে রিটকারি বলছেন তারা আপিল বিভাগে যাবেন। ফলে শপথ পড়ানো যাবেনা। 

 

FJ
আরও পড়ুন