সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ এর বর্ণিত বিধানের আলোকে জনগণের অভিপ্রায়ের এই সরকারের বৈধতা স্বীকৃত উৎস এবং আইনি ভিত্তি বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে ৮ আগস্ট একটি সরকার গঠিত হয়। ৫, ৬, ৭ ও ৮ এর সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন কার্যকর সরকার ব্যবস্থা ছিল না। ৮ আগস্ট যখন প্রথম সরকার গঠিত হয় তখন সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি রেফারেন্স চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট একটি রেফারেন্স বা মতামত দেন যে, ইমারজেন্সি বেসিসে ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা। আমি মনে করি এটাই হলো বর্তমান সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় ভুল হয়েছে। এটা হল সাংবিধানিকভাবে সবচাইতে বড় মিসটেক। এই মিসটেক করা উচিত হয় নাই। এই সরকার হওয়া উচিত ছিল জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে গঠিত সরকার।
জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোববার (১৭ আগস্ট) বিকাল ৪টায় রাজধানী ঢাকার রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত 'জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র’ এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর আইনগত স্বীকৃতি প্রদান ও আমাদের করণীয় শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব বলেন তিনি।
সেমিনারে জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সেমিনারে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃ্দ ছাড়াও জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও আইন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের অধীন সুপ্রিম কোর্ট যে মতামত প্রদান করেছেন এর কোন কার্যকারিতা নেই। বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার সরাসরি প্রতিফলনই জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি। রাষ্ট্রপতির ঘোষণাপত্র (Presidential Proclamation) বা গণভোট (Referendum) জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের স্বীকৃত ও বাস্তবসম্মত পদ্ধতি।
