ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পিএসসিকে এনসিপির ১৫ দফা প্রস্তাব

আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) ১৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পিএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরে দলটির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

বৈঠক শেষে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল বিসিএসে বৈষম্য রোধের দাবিতে। কিন্তু এখনো পিএসসির কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি। তাদের প্রাধান্য তালিকায় চাকরিপ্রার্থীরা নেই। মন্ত্রণালয়ে যারা রয়েছেন তারা যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না, যার ফলস্বরূপ এই প্রজন্মের ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে।’

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছে। তারা নিজেদের প্রমোশন নিশ্চিত করেছে, কিন্তু সাধারণ প্রার্থীরা এখনো ভোগান্তিতে।’

এনসিপির ১৫ দফা প্রস্তাবনা হলো-

১) ২৩ নন-ক্যাডার বিধি সংশোধন: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পিএসসি থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর যেন চিঠি ইস্যু করা হয়। ৪৩ বিসিএস থেকেই যেন সমন্বয় করা হয়।
 
২) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পিএসসিতে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদগুলোতে দ্রুততম সময়ে সুপারিশ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
 
৩) ৪৪তম বিসিএসে অধিযাচিত ৮৭০ পোস্ট বাড়ানোসহ চলমান সপ্তাহেই ৪৪ এর পুনফলাফল দেয়া। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এই বিসিএস চলমান থাকায় চলতি বছরেই যেন গেজেট প্রকাশিত হয়।
 
৪) ২০২৩ এর নন-ক্যাডার বিধির সংশোধন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে চলমান(৪৩, ৪৪,৪৫,৪৬ ও ৪৭তম) সব বিসিএস থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
 
৫) ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডার, যারা পূর্বে ১২ গ্রেডের হেড টিচার হিসেবে সুপারিশ পেয়েছে তাদের যেন মেধার ভিত্তিতে নতুন সার্কুলারে যুক্ত করা হয়।
 
৬) ৪৫তম বিসিএস ভাইভার হাজিরা পত্রে ভাইভা মার্কস ১০০ নাম্বার লেখা। এটার আপডেট।
 
৭) স্বচ্ছতা রক্ষার্থে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার মার্কস প্রকাশ করা।
 
৮) চূড়ান্ত নাম্বার পত্র ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন ও রোল নাম্বার দিয়ে দেখার সুযোগ করে দেয়া।
 
৯) পুলিশ ভ্যারিফিকেশন জটিলতা কমানো। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা।
 
১০) ক্যালেন্ডার ইয়ারে প্রতিটি বিসিএস শেষ করা।

 
 ১১) শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে স্পেশাল বিসিএসগুলোতে প্যানেল সিস্টেম রাখা।
 
১২) ভাইভাই বোর্ডভিত্তিক মার্কসের তারতম্য হ্রাসে কয়েকটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি করা (ভাষা দক্ষতা, পঠিত বিষয়, ক্যাডার চয়েজ, সমসাময়িক ইস্যু, রাষ্ট্রীয় পলিসি, প্রার্থীর বাহ্যিক ও মানসিক যোগ্যতা ইত্যাদি)।
 
১৩) প্রিলি থেকে লিখিত পরীক্ষার মধ্যবর্তী যৌক্তিক সময়সীমা অন্তত দুই মাস বা ৫০ দিন পূর্বে লিখিত রুটিন প্রকাশ।
 
১৪) চূড়ান্ত রেজাল্ট দেয়ার আগে ক্রস চেক করা যাতে সম ক্যাডার বা নিচের ক্যাডার কেউ না পায়। যেটা পূর্বের কমিশন করতো।
 
১৫) পিএসসি’র অধীনে হওয়া পরীক্ষাগুলো গ্রেডভিত্তিক নেয়া।

DR/LH
আরও পড়ুন