ঢাকা
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

যুব নারী সমাবেশে ডা: শফিকুর রহমান

ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩০ এএম

স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও রাষ্ট্র মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চিয়তা দিতে পারেনি; তাই আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি পরিবর্তনের শুভ সূচনা করতে সকলকে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। 

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের ১৩ নম্বর এর পিএসসি কনভেনশন হলে ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের উদ্যোগে উদ্ভাসিত যুব নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসার সভাপতিত্বে ও ঢাকা ১৫ আসনের সদস্য সচিব ও মিরপুর পূর্ব থানার আমির শাহ আলম তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কাফরুল জোনের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, ঢাকা মহানগরী উত্তরে কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী ইঞ্জিনিয়ার ফোরামের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কাজী আবিদ হাসান, কাফরুল উত্তর থানার আমির রেজাউল করিম মাহমুদ ও কাফরুল দক্ষিণ থানার সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু নাহিদ প্রমুখ।

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশে নির্বাচন অত্যাসন্ন। জনগণ ভোট দিয়ে যাদের নির্বাচিত করবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু নতুন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কী? আমি আপনাদের মতামত ও প্রশ্ন থেকে যা অবগত হয়েছি, তাতে মনে হয়েছে আপনারা নিরাপত্তা ও সম্মানের সাথে বাঁচতে চান। রাষ্ট্র যেন আপনাদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। আপনারা চান নিরাপদ মাতৃত্ব। সন্তান জন্মের পর তারা যাতে অপুষ্টিতে না ভোগে; একই সাথে সামাজিক নিরাপত্তা পায়। সুচিকিৎসার সুযোগ থেকে যেন বঞ্চিত না হয়। পরিণত বয়সে সুশিক্ষা পেয়ে উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হয়ে গড়ে ওঠে। বিয়ে-সাদীতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়। যোগ্যতা অনুযায়ি রাষ্ট্র যেন তাদের কর্মের ব্যবস্থা করে। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত কোনো সরকারই জনগণের প্রত্যাশা পুরণ। তাই এখন একটি পরিবর্তনের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে।’ 

তিনি দেশকে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশের নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। দীর্ঘদিন চাষাবাদের পর ফসল ঘরে তোলার সময়। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পক্ষে সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই বরং সর্বোচ্চ কোরবানির মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে দেশে যেন গণজোয়ারের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে প্রবাসী ভাই-বোনদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে নতুন উচ্ছাস। তারা প্রত্যাশার চেয়েও বেশিকিছু করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তাই দেশে ইসলামী আন্দোলনের জন্য যেমন নতুন আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে অতি সন্তর্পনেই অগ্রসর হতে হবে।’ 

তিনি আগামী নির্বাচনে সারাদেশে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সকলকে ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহ্বান জানান।

HN
আরও পড়ুন