জুমার দিন। এই দিনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। সপ্তাহের এই দিনটিকে গরীবের হজের দিন বলা হয়। জুমার দিন মসজিদে যে আগে প্রবেশ করবে তাকে আল্লাহ তায়ালা কোরবানির সওয়াব দেন।
আল্লাহ তায়ালার কাছে জুমার গুরুত্ব এতো বেশি যে পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি সূরা নাজিল করা হয়েছে।
তবে আজকে বিভিন্ন হাদিসে জুমার দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এখানে জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কিত চারটি হাদিস তুলে ধরা হলো-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: সূর্য উদিত হয় এমন সব দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনেই আদমকে (আলাইহিস সালাম) সৃষ্টি করা হয়েছে। এদিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান হয়। এই দিনেই তাকে তা থেকে বের করা হয়। আর এই জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। সহিহাহ ১৫০২, সহিহ আবু দাউদ ৯৬১, মুসলিম, তা’লীক সহিহ ইবনু খুজাইমাহ ৩/১১৬, তিরমিজী হাদিস নম্বর: ৪৮৮ (আল মাদানী প্রকাশনী)
আগে মসজিদে যাওয়ার সওয়াব
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন জুমার দিন আসে ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকে। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। এরপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভী সদকা করে। এরপর আগমনকারী মুরগি সদকাকারীর মতো। এরপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দপ্তর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি, হাদিস, ৮৮২)
এক বছর নফল রোজা ও নামাজের সওয়াব
আরেক হাদিসে হজরত আউস ইবনে আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে এক বছর নফল রোজা ও এক বছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস,৩৪৫)
দোয়া কবুল
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চান আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)
