মুসাফির জুমার নামাজ পড়বেন যেভাবে

আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫০ এএম

শুক্রবার জোহরের সময় জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। যদিও জোহরের নামাজ চার রাকাত, তবে জুমার নামাজ মাত্র দুই রাকাত এবং তার পূর্বে খুতবা দেওয়া হয়। 

জুমার নামাজ সম্পর্কে এক হাদিসে হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন,

مَن كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَعَلَيْهِ الْجُمُعَةُ إِلَّا مَرِيضًا أَوْ مُسَافِرًا أَوِ امْرَأَةً أَوْ صَبِيًّا أَوْ مَمْلُوكًا

আল্লাহ ও পরকালের ওপর যাদের ইমান আছে, তাদের ওপর জুমা ওয়াজিব। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, শিশু ও ক্রিতদাসদের ওপর জুমা ওয়াজিব নয়। (বায়হাকি ও দারাকুতনি)

মুসাফিরের জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত পড়ার বিধান রয়েছে। আর জুমার নামাজ যেহেতু দুই রাকাত তাই তার করণীয় কী?

এ বিষয়ে আলেমদের মতামত হলো- মুসাফির যদি গাড়িতে বা এমন কোনো জায়গায় থাকেন অথবা সফরের ব্যস্ততার কারণে শহরে থাকা সত্ত্বেও জুমার নামাজে উপস্থিত হতে না পারেন, তাহলে তার গুনাহ হবে না। তিনি জুমার সময় প্রতিদিনের মতো জোহরের নামাজের কসর (দুই রাকাত) আদায় করবেন।

তবে জুমার জামাতে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলে অবশ্যই জুমা আদায় করা উচিত। জুমার নামাজ যাদের ওপর ওয়াজিব নয় তাদের জন্যও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। সুযোগ থাকার পরও এই ফজিলত থেকে বঞ্চিত হওয়া উচিত নয়।

মুসাফির যদি জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তিনি অন্যান্য সময়ের মতো জুমার নামাজ দুই রাকাতই আদায় করবেন। মুকিম ও মুসাফিরের জুমার নামাজে কোনো পার্থক্য নেই।

NB
আরও পড়ুন