দিন ও রাত মহান আল্লাহর সৃষ্টি। তবে রাতের মাহাত্ম্য তুলনামূলকভাবে বেশি। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিশ্চয়ই রাতে জাগরণ ইবাদতের জন্য গভীর মনোনিবেশ, হৃদয়ঙ্গম ও স্পষ্ট উচ্চারণে অনুকূল।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: আয়াত ৬)
রাতের সময় আল্লাহর ইবাদত বান্দাকে তাঁর নিকটবর্তী করে তোলে, আর সেই সময়ের দোয়া আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে কবুল করেন। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আমাদের রব প্রত্যেক রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন, যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। তিনি বলেন- কে আমাকে আহ্বান করবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো; কে আমার কাছে প্রার্থনা করবে, আমি তাকে প্রদান করবো; কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো।’ (বুখারি ১১৪৫)
রাত জেগে আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দিয়ে তাওহিদপূর্ণ দোয়া করলে তা কখনোই ফেরত যায় না। এক বিশেষ দোয়া সম্পর্কে নবী কারিম (স.) বলেছেন- যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে এই দোয়াটি করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন। দোয়াটি হলো-
لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ - سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ للهِ، وَلَا إلَهَ إلّا اللهُ، وَاللهُ أكْبَر وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি, ওয়াল হামদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই জন্য। তিনিই সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। আল্লাহ মহাপবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহই মহান, এবং আল্লাহ ব্যতীত কোনো শক্তি বা ক্ষমতা নেই।
এরপর বলা উচিত—‘রাব্বিগফিরলি’, অর্থাৎ ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন।’ (ইবনে মাজাহ ৩৮৭৮)
হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন—যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে এই দোয়া পাঠ করে, তাকে আল্লাহ ক্ষমা করেন। অন্য বর্ণনায় আছে- সে দোয়া করলে তা কবুল হয়, আর অজু করে নামাজ আদায় করলে তার নামাজও কবুল হয়। (ইবনে মাজাহ ৩৮৭৮)
