ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফিরছেন দুই নভোচারী, কী খেয়েছিলেন ৯ মাস?

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:৩০ পিএম

মাত্র আট দিনের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি জমিয়েছিলেন নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। কিন্তু তাদের বহনকারী পরীক্ষামূলক ওই মহাকাশযানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়েন তারা। আট দিনের সেই যাত্রা দীর্ঘ হতে হতে ৯ মাস পেরিয়েছে। অবশেষে বুধবার (১৯ মার্চ) স্পেস এক্সের মহাকাশযানে পৃথিবীতে ফিরছেন তারা।

পৃথিবী থেকে বহুদূরে মহাকাশে ২৮৮ দিন পার করেছেন নাসার এই দুই নভোচারী। যেখানে পাহাড় বা সমুদ্রে দুয়েক দিনের জন্য ঘুরতে গেলেও খাবার, জামাকাপড় ইত্যাদি নিয়ে টানাটানি পড়ে। সেখানে মহাকাশে তারা এতগুলো দিন কীভাবে টিকলেন, কী খেয়েই বা বেঁচে ছিলেন?

ভারতীয় সংবাদ ওয়েবসাইট নিউজ উইক জানিয়েছে, মহাকাশে থাকলেও খাবার নিয়ে কষ্ট পেতে হয়নি সুনীতা উইলিয়ামস বা বুচ উইলমোরকে। প্রতিদিন তিন বেলাই খাবার খেয়েছেন তারা। মহাকাশে তাদের খাবারের তালিকায় ছিল গুঁড়া দুধ, পিৎজা, শ্রিম্প ককটেল, রোস্টেড চিকেন ও টুনা মাছের মতো আইটেম। যেহেতু মহাকাশে তাজা শাকসবজি বা ফল পাওয়া সম্ভব নয়, তাই তারা প্যাকেজিং করা শুকনা ফল ও সবজি খেয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রতি তিন মাসে একবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাদের কাছে তাজা শাকসবজি ও খাবার পাঠানো হয়। সেগুলিই প্যাকেজ-জাত করা থাকে এবং পরবর্তী ৩ মাস সুনিতারা সেই প্যাকেজ-জাত শাকসবজি খান।

এ ছাড়া মাছ-মাংসও খেতে পেরেছেন মহাকাশচারীরা। যেহেতু পৃথিবী থেকেই এগুলি রান্না করে, প্যাকেট করে পাঠানো হয়, তাই মহাকাশে গিয়ে এই খাবারগুলি ফুড ওয়ার্মার দিয়ে গরম করে খান মহাকাশচারীরা। ডিহাইড্রেটেড স্যুপ, স্ট্যু ও ক্যাসেরোলও থাকে মহাকাশচারীদের মেনুতে। এর মধ্যে শুধু পানি ঢাললেই তা খাবার উপযোগী হয়ে যায়।

নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৫৩০ গ্যালনের পানির ট্যাঙ্ক রয়েছে। পানির পিপাসায় সেই পানি পান করতেন সুনিতারা। এছাড়া শুকনা খাবারকে খাওয়ার উপযোগী করে প্রস্তুত করতেও সেই পানি ব্যবহার করেছেন তারা।

নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস।

গেল বছরের জুনের শুরুতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন বুচ ও সুনিতা। পরীক্ষামূলক মহাকাশযান স্টারলাইনারে করে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন তারা। স্পেস এক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িং এই মহাকাশযানটি বানিয়েছে। কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে সেই যানে করে আর পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি বুচ ও সুনিতা।

শেষমেশ ওই মহাকাশযানের মিশন কয়েক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। যদিও বোয়িং জোর গলায় বারবার জানায়, তাদের স্টারলাইনার নিরাপদ এবং এটিতে করেই বুচ ও সুনিতাকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু নাসা এ নিয়ে সামান্যতম ঝুঁকি নিতে চায়নি। তাই ক্রু রোটেশনের নির্ধারিত সময়েই বুচ ও সুনিতাকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা।

তারা কয়েক মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে থাকার পর গত শুক্রবার সেখানে নোঙর করে স্পেস এক্স ড্রাগন ক্যাপসুল। আর তাতে করেই পৃথিবীতে ফিরছেন বুচ ও সুনিতা।

JA
আরও পড়ুন