ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চলছে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ 

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪১ পিএম

জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা- পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ চলছে। ৭ সেপ্টেম্বর (রোববার) রাত ৯টা ২৮ মিনিট ২৫ সেকেন্ড থেকে এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে। এইসময় চাঁদ রূপ নেবে লালচে আভায় ভরা ‘ব্লাড মুনে’, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী গ্রহণ। এই গ্রহণ বাংলাদেশসহ পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে স্পষ্ট দেখা যাবে। ফলে কোটি কোটি মানুষ একসঙ্গে এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে বাড়ির ছাদ থেকেই এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন আপনিও।

বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, চাঁদের পেনুম্ব্রাল গ্রহণ শুরু হয় ৭ সেপ্টেম্বর (রোববার) রাত ৯টা ২৮ মিনিট ২৫ সেকেন্ড থেকে। এরপর আংশিক চন্দ্রগ্রহণ শুরু একইদিন রাত ১০টা ২৭ মিনিটি ০৯ সেকেন্ডে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড থেকে। সর্বোচ্চ গ্রহণ চলবে রাত ১২টা ১১ মিনিটি ৪৭ সেকেন্ড পর্যন্ত। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে রাত ১২টা ৫২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে। আংশিক গ্রহণ শেষ রাত ১টা ৫৬ মিনিটি ৩১ সেকেন্ডে। পেনুম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে রাত ২টা ৫৫ মিনিট ৮ সেকেন্ডে। এই চন্দ্রগ্রহণ মোট ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট স্থায়ী হবে। 

এবারের পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণকে ‘সুপার ব্লাড মুন’ নাম দেওয়া হয়েছে। আকারে সাধারণ সময়ের চাঁদের থেকে সাত শতাংশ এবং উজ্জ্বলতায় পনেরো শতাংশ বেশি হতে পারে এই সুপার ব্লাড মুন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ব্লাড মুন তখনই তৈরি হয় যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে। পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে, কিন্তু পুরোপুরি অন্ধকার না হয়ে চাঁদ লাল আভায় রঙিন হয়। এর কারণ হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্যের আলোকে ছেঁকে দেয়। ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের নীল ও বেগুনি আলো ছড়িয়ে যায়, আর বড় তরঙ্গদৈর্ঘ্যের লাল ও কমলা আলো চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছে। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় রে-লি ছিটকানো (Rayleigh Scattering)।

যখন এই সরলরেখায় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠের কোন দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। তখন একে সংক্ষেপে চন্দ্রগ্রহণ বলে।

FJ
আরও পড়ুন