ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কারাগারে থেকেও তুমুল জনপ্রিয় ইমরান খান

আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম

একের পর এক মামলা ঠুকে, জেলবন্দি করেও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জনপ্রিয়তা কমাতে পারছে না দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনী। অত্যাচার, নিপীড়নের মধ্যে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাঁর এবং তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) জনপ্রিয়তা। সাম্প্রতিক এক জরিপের বরাতে এমনই তথ্য দিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজ।

জরিপে ইরমানের দলকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আর দলটির সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নেতা। জরিপের এই তথ্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পিটিআই ও ইমরান খানের জন্য বড় সুবিধা হয়ে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জরিপ ইমারানের দলকে নির্দ্বিধায় আরও চাঙ্গা করবে।

জরিপে দেখা গেছে,পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) পিএমএলকে টপকে পিটিআই দেশে এবং দেশের সবচেয়ে বড় প্রদেশ পাঞ্জাবে এগিয়ে। বর্তমানে দুই দলের ব্যবধান পাঞ্জাবে ৫ শতাংশ, যা কয়েক মাস আগেও ১৫ শতাংশের মতো ছিল। আর গোটা পাকিস্তানে জনপ্রিয়তার নিরিখে ২০১৮ সালে সাধারণ নির্বাচনের সময়ের তুলনায় বর্তমানে পিটিআই আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আর পিএমএলএনের সমর্থন কমেছে। 

এক্ষেত্রে আগামী পাঁচ সপ্তাহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ে জনপ্রিয়তার মাত্রায় আরও পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করছে জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ‘গ্যালাপ’। সবশেষ জরিপটি চালানো হয় গত বছরের জুন-জুলাই মাসব্যাপী। এতে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া ৩৮ শতাংশ মানুষই পিটিআই এবং ১৬ শতাংশ পিএমএলএন সমর্থন করে। ভুট্টো পরিবারের দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) রয়েছে ১০ শতাংশ রয়েছে। আর তেহরিক-ই-লাব্বাইক পকিস্তান (টিএলপি) এর সমর্থন ১৫ শতাংশ।

পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে বেশ চাপের মুখে রয়েছে পিটিআই। ইমরানসহ অনেক শীর্ষ নেতার মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়নি। সামরিক বাহিনী-প্রভাবিত রাষ্ট্রযন্ত্র গোটা দেশের পিটিআই নেতাদের নিপীড়নের মধ্যে রেখেছে। ফলে জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রযন্ত্রের চাপের কারণে নির্বাচনে ভালো করা ইরমানের দলের জন্য কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইমরান খান গত বছরের আগস্ট থেকে কারাবন্দী। দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলায় তাঁর বিচার চলছে। ইমরান খানের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে এসব মামলা ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আসন্ন নির্বাচনে তিনি ও তাঁর দল যাতে অংশ নিতে না পারে, তার ষড়যন্ত্র চলছে। গত বছর রাষ্ট্রীয় তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় ইমরানকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলকে পদ্ধতিগতভাবে নির্বাচন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। পিটিআই বলছে, তাদেরকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে।

NC
আরও পড়ুন