ফাইনালের টিকিট কাটতে জিততেই হবে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে এমন সমীকরণ নিয়েই বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। রাওয়ালপিন্ডির পিণ্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সব হিসাব চুকিয়ে দিয়েছে লঙ্কানরা। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৬ রানে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করলো তারা।
এদিন আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে শ্রীলঙ্কা। জবাবে শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ রান, কিন্তু তারা করতে পারে মাত্র ৩ রান।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাথুম নিসাঙ্কা ৮ রানে ফিরে যান। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন কামিল মিশরা ও কুশল মেন্ডিস। এই জুটি মিলে গড়েন ৬৬ রানের মূল্যবান জুটি। কুশল মেন্ডিস ২৩ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আবরার আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন।
৬ রান করে কুশল পেরেরা ফিরলেও থামেননি মিশরা। তিনি ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ১৭তম ওভারে আবরার আহমেদের বলেই মোহাম্মদ ওয়াসিমকে ক্যাচ দেয়ার আগে মিশরা ৪৮ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। শেষদিকে জানিথ লিয়ানাগের ২৪ বলে ২৪ এবং অধিনায়ক দাসুন সানাকার ১০ বলে ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৮০ পেরিয়ে যায়।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ২৯ রানে সাহিবজাদা ফারহানকে হারানোর পর একই ওভারে ডাক মেরে ফিরে যান বাবর আজম। পরের ওভারে সাইম আয়ুবও ১৮ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ফখর জামান আউট হলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় পাকিস্তান।
তবে পঞ্চম উইকেটে সালমান আলি আগা ও উসমান খান মিলে ৫৬ রানের জুটি গড়ে আশা জাগান। উসমান ২৩ বলে ৩৩ রান করে ফিরে গেলেও আগা ৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ ৭ ওভারে যখন পাকিস্তানের জয়ের জন্য ৮২ রান প্রয়োজন, তখন আগা ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটে তারা লড়াইয়ে ছিল।
তবে ১৮তম ওভারে ১৬ বলে ২৭ রান করে নওয়াজ ফেরার পরই ম্যাচে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৬ রানের জয় নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে জায়গা করে নেয় লঙ্কানরা।
জামায়াতের ডা: তাহেরকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন মির্জা ফখরুল 