ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পিএসএল

উদ্বোধনী ম্যাচে ইসলামাবাদের শুভসূচনা

আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৬ এএম

এক দশকে পাকিস্তান সুপার লিগ। তাইতো ১০তম আসরের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সবাইকে চমকে দিলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। উদ্বোধনী ম্যাচের আগে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জমকালো আয়োজন। ব্যতিক্রমধর্মী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পিএসএল কর্তৃপক্ষ। আর এমন চোখ ধাধানো আয়োজনের আনন্দটা ফিকে হতে দেয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। জয় দিয়ে আসরের শুভসূচনা করলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।

এক দশকের পিএসেলের টসেও রাখা হয় ভিন্নতা। টস করার সময় মুদ্রা পাঠানো হয় ফ্লাইং ম্যান দিয়ে। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে পড়েন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আগে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি লাহোর কালান্দার্স। ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই ১৩৯ রানে অলআউট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটে জয় পায় ইসলামাবাদ।  

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইসলামাবাদের। স্কোরবোর্ডে ৮ রান যোগ হতেই ওপেনার আন্দ্রিস গোউসকে হারায় তারা। ৬ বলে ৪ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড আউট করে সাজঘরে পাঠান আসিফ আফ্রিদি। এরপর কলিন মুনরোকে নিয়ে জুটি বাঁধেন ফারহান।

দলীয় ৬৩ রানে ফারহান আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। ফেরার আগে ২৪ বলে ২৫ রান করেন এই ব্যাটার। তারপর সালমান আগাকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন মুনরো। ১৭.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। মুনরো অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৫৯ রানে। অপর প্রান্তে ৩৪ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান আগা।  

টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লাহোরও ভালো শুরু পায়নি। দলীয় ৪ রানের মাথায় ওপেনার ফখর জামানের উইকেট হারায় তারা। মেরেডিথের বলে শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে আজম খানের গ্লাভসে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর শফিককে নিয়ে এগোতে থাকেন মোহাম্মদ নাঈম।

দলীয় ৩০ রানের মাথায় নাসিম শাহ’র বলে মুনরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ৮ রান। দলীয় ৫১ রানের মাথায় আউট হন ড্যারিল মিচেল। ইমাদ ওয়াসিমের বলে শাদাব খানের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। ১৪ বলে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।  

এরপর স্যাম বিলিংস ও সিকান্দার রাজাও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। একশ’র আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে লাহোর কালান্দার্স। বিলিংস আউট হন ৩ বলে কোনও রান না করেই। সিকান্দর রাজার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২৩ রান। জাহানদাদ খানও ৩ বলে শূন্য রান করে আউট হন।  

ডেভিড ভিসে ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। আর শেষ দিকে হ্যারিস রউফ করেন ১০ বলে ১০ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ বল বাকি থাকতেই ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় লাহোর কালান্দার্স। ইসলামাবাদের হয়ে হোল্ডার নেন ৪ উইকেট। অধিনায়ক শাদাব খান শিকার করেন ৩ উইকেট। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম, মেরেডিথ ও নাসিম শাহ নেন একটি করে উইকেট।

MMS
আরও পড়ুন