আশা ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার, চাওয়া ছিল টুর্নামেন্টের শিরোপা। কিন্তু বাস্তবতা হলো-১১ দলের মধ্যে নবম হয়ে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তারকায় ঠাসা স্কোয়াড হয়েও ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই জোটেনি নুরুল হাসান সোহানদের কপালে।
শেষ ম্যাচে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে ৭ উইকেটে হেরে র্যাঙ্কিংয়ে আরও একধাপ নিচে নামল দলটি। এই ম্যাচে জয়ই যথেষ্ট ছিল না—বিশাল ব্যবধানে জিততে হতো রান রেট বাড়ানোর জন্য। বরং উল্টো ফল হয়েছে-দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন ম্যাকেঞ্জি হার্ভি।
মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল দারুণ। পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান, যার বেশিরভাগই এসেছে জিসান আলমের ব্যাট থেকে। ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ ব্যাটিং ধস-সাইফ হাসান, জিসান, সোহান দ্রুত ফিরে যান।
শেষ দিকে আফিফ (৪৯) ও ইয়াসির (২৫) কিছুটা ঘুরে দাঁড়ান। বাংলাদেশ তোলে ১৭৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্কোর হলেও স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে সেটিও যথেষ্ট হয়নি।
অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স একাডেমির ইনিংসে বাংলাদেশি বোলারদের যেন কোনো অস্ত্রই ছিল না ম্যাকেঞ্জি হার্ভির বিরুদ্ধে। ৫৩ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। তার ব্যাটে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কা। টুর্নামেন্টে এই ছিল তার প্রথম ফিফটি, আর সেটিই হয়ে গেল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান।
সর্বশেষ এই হারসহ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের চারটি পরাজয়—সবই এসেছে একাডেমি দলের বিপক্ষে। যেখানে প্রতিপক্ষের অনেক ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটেও খুব বেশি আলো ছড়াননি, সেখানে আফিফ, সোহান, সাইফ, ইয়াসিরের মতো জাতীয় দলের মুখরাও পারলেন না নিজেকে প্রমাণ করতে।
গত বছর এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশের হাই পারফরম্যান্স দল, এবার সেই জায়গা থেকে এক লাফে নবম স্থানে পতন-যা বড় ধাক্কা!
একনজরে
ম্যাচ জয় হার অবস্থান
৬ ২ ৪ ৯ম
