ঢাকা
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মুমিনুলের চোখে অনুপ্রেরণার নাম মুশফিক

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম

মিরপুরের টেস্টের প্রথম দিন শেষ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে মুমিনুল হকের প্রশংসার ঝড় বয়ে গেল। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকের এই মাইলফলক শুধু বাংলাদেশের নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে স্বীকৃত। ৯৯ রান করে অপরাজিত থাকা মুশফিক এক রানের ব্যবধানে সেঞ্চুরির মুখে। ইতোমধ্যেই ১২টি টেস্ট সেঞ্চুরি এবং তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি তাঁর নামের পাশে, যা তাকে বিশেষ করে তোলে।

মুমিনুল হক মুশফিককে নিয়ে বলেন, ‘জানি না বাংলাদেশে এমন একজন মানুষ জন্ম নেবে কিনা। যে মানুষ রান করুক বা না করুক, তার জিম রানিং, ফুড থেকে শুরু করে সব চলতে থাকে। অনেকে তো অফফর্মে থাকলে হতাশ হয়ে পড়ে। উনার ভেতর কোনো হতাশা নেই। সব ঠিক রেখে চলতে থাকেন। আমার মনে উনি ওইটারই ফল পাচ্ছেন। ১০০ টেস্ট উনি ডিজার্ব করেন। ইনশাআল্লাহ কাল ২০০ রান করলেও সে ডিজার্ব করেন।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মুশফিকের শততম টেস্ট উপলক্ষে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। মুমিনুল বলেন, ‘এমন পরিবেশ আগে কখনো দেখেনি। একটা সময় মনে হচ্ছিল উনাকে বিদায় দেওয়ার আয়োজন হচ্ছে। অন্যান্য দেশে কারও বিদায়ের আগে এমন সংবর্ধনা দেখা যায়। এসব দেখে নিজের কাছে ভালো লেগেছে। এই কালচার সব সময় থাকলে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা ১০০ টেস্ট খেলার জন্য অনুপ্রাণিত হবে।’

মুমিনুল আরও উল্লেখ করেন, শততম টেস্ট খেলার সুযোগের প্রেক্ষাপটে তার নিজস্ব মনোভাব, ‘আমার কথা যদি বলি, আমি কাল বাঁচব কী বাঁচব না, পরেরটা পরে দেখা যাবে। আজকেরটা আজ, পরেরটা পরে।’ দেশের কম টেস্ট খেলার বিষয়টিও তিনি ইতিবাচকভাবে দেখেন, ‘আমাদের দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পার্থক্য আছে। এটা নিয়ে আমার কোনো হতাশা নেই। আল্লাহ যা দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।’

সংবাদ সম্মেলনের শেষভাগে রসিকতার ছলে মুমিনুল বলেন, ‘একটা সময় মনে হচ্ছিল, এটা (মুশফিক ভাইয়ের সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়টি) রিটায়ারমেন্টের দিকে যাচ্ছে। পরে দেখি না, শততম ম্যাচ সেলিব্রেশন হচ্ছে। বাইরের দেশে তো অবসরে গেলে এমন আয়োজন হয়।’

আরও পড়ুন