চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুটা ছিল ঝোড়ো। পাওয়ার প্লেতে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দিয়েছিলেন দুই আইরিশ ওপেনার। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে মাঝপথে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত লরকান টাকারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করেছে আয়ারল্যান্ড। সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৭১ রান।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টরের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় সফরকারীরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই স্পিনার শেখ মেহেদীকে ৩টি বাউন্ডারি হাঁকান তারা। পরের ওভারে নাসুম আহমেদও ছিলেন খরুচে, দেন ১৪ রান।
আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হঠাৎ স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভে গেলে খেলা সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে দুটি এবং পরে চারটি ফ্লাডলাইটই বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় খেলা শুরু হয়।
মেহেদীর তিন শিকার, স্বস্তিতে বাংলাদেশখেলা পুনরায় শুরু হলেও আইরিশদের ছন্দে ছেদ পড়েনি। পঞ্চম ওভারে তানজিম সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে ২৯ রান করেন অধিনায়ক পল স্টার্লিং। তবে এক উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ৬ ওভারে) ৭৫ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে এটিই আইরিশদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা আরেক ওপেনার টিম টেক্টরকে থামান শেখ মেহেদী। ২৫ বলে ৩৮ রান করে তিনি ফিরলে আইরিশদের রানের চাকা কিছুটা মন্থর হয়ে যায়। এরপর হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার দ্রুত ফিরে গেলে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ।
বিপিএল নিলামে কারা থাকছেন দেশি ক্রিকেটার?মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লরকান টাকার। জর্জ ডকরেলকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত টাকারের ৪১ রানের ইনিংসে ভর করে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশের বোলাররা শুরুর ঝড় সামলে মাঝের ওভারগুলোতে নিয়মিত বিরতি উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে বড় সংগ্রহ থেকে আটকাতে সক্ষম হন। এখন সিরিজ সমতায় ফেরাতে লিটন-হৃদয়দের সামনে ১৭১ রানের লক্ষ্য।
