ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আবারও সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম

হট ফেভারিট ছিল বাংলাদেশ। সেই হিসেবে কোনো ভুলচুক না করে বাংলাদেশ নারী সাফ ফুটবলের শিরোপা আরেকবার জিতলো। টানা দ্বিতীয়বার মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের ট্রফি এলো ঘরে। অন্যভাবে বলা যায়, ট্রফিটা বাংলাদেশের ছিল বাংলাদেশরই রইলো।

ফাইনালের স্কোরলাইন বাংলাদেশ ২, নেপাল ১। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতের এই ফাইনালে লড়াইটা হয়েছে দারুণ। চারধারের গ্যালারির সব সমর্থন ছিল নেপালের পক্ষে। কিন্তু বিশাল সেই সমর্থন নিয়েও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। তিন গোলের এই ফাইনালে দু’দলই এরচেয়ে অন্তত দ্বিগুন গোল মিস করেছে।

প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। অথচ এই অর্ধেই গোল হতে পারত সবমিলিয়ে চারখান। সবচেয়ে সহজ গোল মিস করেছে অবশ্য স্বাগতিকরা। বল ধরতে ফ্লাইট মিস করে মাটিতে পড়ে যান বাংলাদেশি গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। সেই সুযোগে ডি বক্সের মাথা থেকে নেপালি স্ট্রাইকার আমিশা কারকি ভলি শট নেন। বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। গোলের সূবর্ণ সুযোগ হারায় নেপাল। এই অর্ধে বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালায়। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে ফিনিসিং দিতে পারেনি।

এই টুর্নামেন্টে আগের ম্যাচগুলোতে সহজে এবং বড় ব্যবধানে জয় পাওয়া বাংলাদেশ ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য ঝাঁপায়। গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৫২ মিনিটের সময়। মাঝমাঠ থেকে দারুণ পরিকল্পিত বিল্ডআপ নিয়ে নেপালের আক্রমণভাবে উঠে আসেন স্ট্রাইকার মনিকা চাকমা। সেখানেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নেপালি সবিতা রানা মাগার ভুল করে বসেন। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তার শট চলে যায় মনিকা চাকমার পায়ে। এমন সুযোগ লুফে নিলেন মনিকা চাকমা। তার গোলেই ম্যাচে প্রথমবারের মতো উল্লাসে ভাসে বাংলাদেশ (১-০)। তবে বাংলাদেশ দলের এই গোল আনন্দ বেশি সময় টিকলো না। তিন মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করে ফেলল নেপাল। যে ভুলে বাংলাদেশ গোল পেয়েছিল সেই একই রকম ভুলের সুযোগে নেপাল ম্যাচে সমতা আনলো। ডি বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে ভুল করেন মাসুরা পারভীন। সেই বল সামনে ফাঁকায় দাড়ানো আমিশা কারকি পেয়ে যান। পোস্টের এতো কাছে থেকে গোলকিপার রূপনা চাকমাকে একা পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি কারকি। তার গোলেই ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে নেপাল (১-১)।

পুরো গ্যালারি তখন নেপাল, নেপাল শ্লোগানে মাতোয়ারা। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টায় অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ধীরে সুস্থে সামনে বাড়ে বাংলাদেশ। বল নিজেদের দখলে রেখে কখনো মাঝখান থেকে কখনো পার্শ্ব থেকে আক্রমণে উঠে আসে। ৭৬ মিনিটেই মারিয়া মান্দার শটে ম্যাচে বাংলাদেশ প্রায় এগিয়েই যাচ্ছিল। বল জালে যাওয়ার আগ মুহূর্তে নেপালি গোলকিপার আনজিলা এক হাতে সেটা ঠেকিয়ে দেন। ৮০ মিনিটের সময় ডি বক্সে ফাঁকায় দাড়ানো রিতুপর্ণা দারুণ একটা সুযোগ পান। তার শট নেপালি গোলরক্ষক আনজিলার হাতে লেগে জালে প্রবেশ করে (২-১)। এই গোলেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি আরেকবার বাংলাদেশে ফিরলো।

আরও পড়ুন