ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের চেয়ে দলগত খেলায় জয় পেতে চান এবং ফুটবল কখনোই একজন খেলোয়াড়ের নয়। তাই তার কাছে টিম সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জানান হামজা চৌধুরী।
আগামী ৯ অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে হংকং চায়নার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী।
বাংলাদেশের হয়ে তিন ম্যাচ খেলা এই ফুটবলার জানালেন, দলের প্রত্যাশা সম্পর্কে তিনি সচেতন। তবে ব্যক্তিগত নয়, দলগত খেলা দিয়েই জয় পেতে চান তিনি।
‘ইনশা আল্লাহ, আমরা উইনিং টিম হমু’- সিলেটি উচ্চারণে হামজার অঙ্গীকারহংকং ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে হামজা বলেন, ‘কোচ সব বড় সিদ্ধান্ত নেন। মাঝে মাঝে আমার মতামতও নেন, যেখানে আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে সহায়তা করি। দল গত এক সপ্তাহ ধরে কঠোর পরিশ্রম করছে। ইনশাআল্লাহ, আমাদের পরিকল্পনা ঠিক আছে।’
সিঙ্গাপুর ম্যাচে হার নিয়েও হতাশা ঝরেছে তার কণ্ঠে, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজেদের হতাশ করেছি। রক্ষণে আরও ভালো করতে পারলে হয়তো গোল হজম করতে হতো না। কিন্তু ফুটবল এমনই—সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। হংকংয়ের বিপক্ষে এটা নতুন চ্যালেঞ্জ, বিশ্বাস করি আমরা জিতবো।’
দলের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখছেন হামজা। ‘ফুটবলে চ্যালেঞ্জ নিতেই হয়। চোট সমস্যা ছিল, কিন্তু আমাদের স্কোয়াড ভালো। শমিত আজ দলে যোগ দেবে,’ বলেন তিনি।
কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও প্রশংসা করেন হামজা, ‘আমাদের কোচের ওপর আমি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখি। তিনি খুব বুদ্ধিমান। দলটা তরুণ, তাই সবাইকে একসঙ্গে গাঁথা সহজ নয়, কিন্তু আমরা ভালোভাবে কাজ করছি।’
নিজের ভূমিকা নিয়ে হামজার দৃঢ়তা, একজন মিডফিল্ডারের কাজ আক্রমণ ও রক্ষণ—দুই জায়গাতেই অবদান রাখা। ইনশাআল্লাহ, আমি দুটোই ভালোভাবে করতে পারবো।
বাংলাদেশে এবারও সঙ্গে এসেছে হামজার স্ত্রী ও সন্তানরা। তাদের অভিজ্ঞতাও ইতিবাচক বলেই জানান তিনি।
শেষে দলগত চেতনার ওপর জোর দিয়ে হামজা বলেন, ‘ফুটবল কখনো একজনের খেলা নয়। এমনকি মেসি যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলতেন, তবুও ট্যাকটিকস ও টিম স্পিরিটই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতো। আমরা যদি একসঙ্গে থাকতে পারি, ইনশাআল্লাহ দেশ হিসেবে সফল হবো।’
