রব কেনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন। সেই ছোট বয়স থেকেই তাকে জীবনের মৌলিক দক্ষতা শেখার জন্য নিজেই লড়াই করতে হয়েছে। বাবার অভাব যেন জীবনের অনেক দ্বিধা-সংকট নিয়ে আসে, কিন্তু রব সেই শূন্যতা পূরণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন।
এরই বছর কয়েক পরে, রব নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০২০ সালে (Dad, how do i?) ‘বাবা, আমি কীভাবে করব?’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করেন। এই চ্যানেলের মাধ্যমে তিনি যেসব কাজ জীবনে শিখতে গিয়ে নিজেকে দুঃস্থ মনে করেছিলেন, সেগুলো সহজ এবং ব্যবহারিক উপায়ে শেখাতে শুরু করেন। যেমন টাই বাঁধা, টায়ার পরিবর্তন, ড্রেন পরিষ্কার করা, বা শেভ করা- সবকিছুই তিনি উষ্ণতা ও উৎসাহে ভরা পিতৃসুলভ সুরে তুলে ধরেন।
সিবিএস নিউজ এবং টুডে অনুসারে, রবের ভিডিওগুলি তরুণদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। তার চ্যানেলটি খোলার পর মাত্র কয়েক মাসে ভাইরাল হয়ে ওঠে এবং লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার অর্জন করে। তবে রবের লক্ষ্য শুধুমাত্র কাজ শেখানো নয়, বরং একাকীত্বের মধ্য দিয়ে যাদের বড় হতে হয়েছে, তাদের মানসিক সমর্থন ও পথপ্রদর্শন করা।
এদিকে সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলে (Dad, how do i?) গত রোববার (২৪ অগাস্ট) কিভাবে হেডলাইট পুনরুদ্ধার করবেন (How to Restore Headlights) এমন শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, ভিডিওটি ৫১,৮৩৮ বার দেখা হয়েছে এবং দুই হাজার ৪০০ টি লাইক পড়েছে।
তিনি তার প্রতিটি ভিডিও শেষ করেন ('I’m proud of you' or 'You’re doing great') ‘আমি তোমার জন্য গর্বিত’ বা ‘তুমি দুর্দান্ত করছো’ এর মতো উৎসাহব্যঞ্জক কথা দিয়ে, যা অনেক তরুণ দর্শক দাবি করেছেন তাদের জীবনে এমন কোনো সান্ত্বনা বা প্রেরণা আগে কখনো পাননি।
রব কেনির গল্প এবং তার চ্যানেল প্রমাণ করে, কখনো কখনো জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক হয় অভিজ্ঞতার শূন্যতা থেকে উঠে আসা প্রেরণা। তার এই প্রচেষ্টা এক নতুন প্রজন্মের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মানসিক আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।
পাজল সমাধান করার উপকারিতা