ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কিউআর কোড স্ক্যানের আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৮ এএম

কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড এখন তথ্য আদান প্রদানের একটি সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্মার্টফোন বা কিউআর কোড রিডারের মাধ্যমে স্ক্যান করে রেস্তোরাঁর মেনু দেখা, ওয়াই-ফাই কানেক্ট করা কিংবা অনলাইনে অ্যাকাউন্ট লগইনসহ নানা কাজ সহজে করা যায়। 

তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্ক না হলে এই কিউআর কোড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিউআর কোড নকল করা সম্ভব এবং প্রতারকরা এগুলো ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে নিয়ে যেতে পারে বা ফিশিং আক্রমণ চালাতে পারে। তাই কোড স্ক্যান করার আগে কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।

কোড ভালোভাবে লক্ষ করা

কিউআর কোডে কোনো স্টিকার পুরনো কোডের ওপর লাগানো হয়েছে কিনা তা লক্ষ্য করতে হবে। অনেক প্রতারক আসল কোডের ওপরে তাদের নকল কোড বসিয়ে দেয়। পার্কিং লট, ব্যস্ত রেস্তোরাঁর মতো সহজলভ্য স্থানে লাগানো কোড স্ক্যান করার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সোর্স নিশ্চিত করা

কোনো দোকান বা রেস্তোরাঁয় কিউআর কোড নকল মনে হলে কর্মীদের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া উচিত। অনলাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কোডের উৎস যাচাই করতে হবে। সন্দেহজনক ই-মেইল বা অপরিচিত ওয়েবসাইটের কিউআর কোড স্ক্যান করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ব্র্যান্ডিংয়ে ব্যাকরণগত ভুল বা বানান ভুল থাকলেও সেটি প্রতারণার ইঙ্গিত হতে পারে।

ইউআরএল পরীক্ষা করা

স্ক্যান করার পর পাওয়া লিংক পরীক্ষা করাও জরুরি। প্রকৃত ব্যবসা সাধারণত তাদের ব্র্যান্ডের নামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ডোমেইন ব্যবহার করে। ইউআরএল যদি অস্বাভাবিক মনে হয়, তবে সেটি ক্লিক না করাই ভালো। প্রয়োজনে লিংক যাচাই করতে অনলাইন নিরাপত্তা টুল ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলে কিউআর কোড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।

NB
আরও পড়ুন