ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বেসিক ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৯ এএম

বেসিক ও দি সিটি ব্যাংক একীভূত হওয়ার খবরে বেসিক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন গ্রহকরা। ইতোমধ্যে বেসিক ব্যাংক থেকে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন গ্রাহকেরা। যদিও বেসিক ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায় না। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে। 

গত ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তারা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তারা আতঙ্কগ্রস্ত। 

এদিকে বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে। 

বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।

৮ এপ্রিল সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিনকে ডেকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সংকটে থাকা রাষ্ট্র খাতের বেসিক ব্যাংককে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দুই পক্ষের কেউই ‘চাপিয়ে দেওয়ার’ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেননি।

বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত পাঁচটি ব্যাংককে অন্য পাঁচ ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার জন্য বলেছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিডিবিএল সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হবে। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে শুধু এক্সিম ব্যাংক ‘অন্য ব্যাংককে নেওয়া এড়াতে’ আগেই পদ্মা ব্যাংককে বেছে নিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। ব্যাংকগুলো নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

MB/AST
আরও পড়ুন